পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবারের জেএনইউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গতবারের মতোই জোট করে লড়েছে বামেদের চারটি ছাত্র সংগঠন। জেএনইউ ছাত্র সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে থাকা বামেদের ঐশী ঘোষ পেয়েছেন ২ হাজার ৩১৩টি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী এবিভিপির মণীশ জঙ্গিদ পেয়েছেন ১ হাজার ১২৮টি ভোট। এক্ষেত্রে এবিভিপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও একেবারে তার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বাপসা। দলিত ছাত্র প্রতিনিধিদের এই সংগঠনের জিতেন্দ্র সুনা পেয়েছেন ১ হাজার ১২২টি ভোট। সভাপতি পদে নোটায় ভোট পড়েছে ১১৫টি। অন্যদিকে, সহ-সভাপতি পদেও এগিয়ে রয়েছেন বাম ছাত্রজোটের সাকেত মুন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৩৬৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবিভিপির শ্রুতি অগ্নিহোত্রী পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৫টি ভোট। জেএনইউ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদেও এগিয়ে রয়েছেন বাম জোটপ্রার্থী। এক্ষেত্রে বামেদের সতীশ যাদব পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৮টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবিভিপির সবরীশ পিএ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৫টি ভোট। আবার যুগ্ম-সম্পাদক পদে প্রথম স্থানে থাকা বাম ছাত্র জোটের মহম্মদ দানিশ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৯৫টি ভোট। ১ হাজার ৫০৮টি ভোট পেয়ে সম্ভাব্য এবিভিপির সুমন্ত সাহু। ছাত্র সংসদের ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই শুধুমাত্র সভাপতি পদের জন্যই প্রার্থী দিয়েছিল। তবে গো-হারা হেরেছে তারা।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ রয়েছে ঠিকই, তবে গণনার ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না। তাই শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়ে রবিবার গণনার যে ট্রেন্ড, তাতে সর্বোচ্চ চারটি পদে বাম জোটই ক্ষমতা দখলের দিকে এগিয়ে রয়েছে। এবিভিপির সঙ্গে তাদের ব্যবধান অনেকটাই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ট্রেন্ড বিজেপি নেতৃত্বকে যথেষ্ট চিন্তায় রাখবে। এ ব্যাপারে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশমতো আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের আগে ফল প্রকাশ সম্ভব নয়। কিন্তু এই প্রবণতা বলে দিচ্ছে, আমাদের জয় নিশ্চিত। হারছে বিজেপি।’