ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
২০১৯-২০২০ সালের প্রকল্পের রূপরেখা নির্ধারণের জন্য টাস্ক কমিটিকে রিপোর্ট জমা করতে হবে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। আর ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রকল্প রূপরেখার জন্য যে সুপারিশ তৈরি করা হবে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে এই বছরেরই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টাস্ক ফোর্স প্রযুক্তিগতভাবে এবং আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত পরিকাঠামোর প্রকল্পকে চিহ্নিত করবে। সেইসঙ্গে এই টাস্ক ফোর্স সুপারিশ করবে কীভাবে প্রতিটি মন্ত্রক প্রকল্পগুলিতে লগ্নি করার সম্ভাব্য আর্থিক সোর্স চিহ্নিত করবে। বস্তুত সরকার মনে করছে আর্থিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে লগ্নি কমে যাওয়া এবং বহু পরিকাঠামো প্রকল্পের থমকে থাকা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন, ১০০ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নির পরিকল্পনার কথা। আজ অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ১০০ কোটি টাকার বেশি লগ্নির প্রকল্পগুলিকে চিহ্নিত করা হবে যেগুলি হবে গ্রিনফিল্ড এবং ব্রাউনফিল্ড প্রকল্প। অর্থমন্ত্রকের বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, একবার ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রকচার পাইপলাইনের আওতায় চলে আসা প্রকল্প যাতে সময়মতো সমাপ্ত হয় এবং কোনওভাবেই দেরির জন্য প্রকল্পব্যয় বেড়ে না চলে তা নজরদারি করতে হবে। আর সেই প্রকল্পেই যেন হাত দেওয়া হয় যেগুলি সমাপ্ত হবে। আর্থিক সঙ্কট কাটাতে পরিকাঠামো খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দেশজুড়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা না হলে কোনওভাবেই অর্থনীতির মন্দা কাটানো যাবে না বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। প্রশ্ন উঠছে একদিকে যেখানে অর্থনীতির চরম মন্দা চলছে এবং সরকারে ভাঁড়ার সামলাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হচ্ছে, তখন পাঁচ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করার মতো সরকারি এবং বেসরকারি তহবিল আসবে কোথা থেকে? যদিও আজ অর্থমন্ত্রক বলেছে, সেই টাকার সংস্থান কোথা থেকে আসবে তারও রূপরেখা দেবে ওই টাস্ক কমিটি।