বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত বছর ‘তেরে দেশ হোমস’ নামে ভারতে কাজ করা এক আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, ২২ হাজারেরও বেশি শিশু ঝাড়খণ্ড ও বিহারের খনি এলাকায় শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। যা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। যেখানে শিশুশ্রম আইনত নিষিদ্ধ, যেখানে শুধুমাত্র দু’টি রাজ্যের কয়েকটি জেলাতেই এত বিপুল সংখ্যক শিশু পেটের দায়ে কাজ করছে! বেসরকারি সংস্থার সেই রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামে এনসিপিসিআর। তাদের সেই সমীক্ষায় উঠে আসে, অভ্র খনি এলাকার একটা বড় অংশের বহু শিশু সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং পেটের তাগিদে সেখানে শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করছে।
ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা ও গিরিডি এবং বিহারের নওয়াদা জেলাজুড়ে সেই সমীক্ষা চালিয়েছিল মোদি সরকার। এনসিপিসিআরের সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে, ‘ঝাড়খণ্ডের ওই সমস্ত এলাকায় ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সি ৪ হাজার ৫৪৫ শিশু স্কুলে যায় না।’ একইভাবে অভ্র খনি এলাকার নওয়াদা জেলার ৬৪৯ জন শিশু স্কুলে যায় না। স্কুল না যাওয়ার পিছনে অনিচ্ছা, আকাঙ্ক্ষার অভাব এবং খনি এলাকা থেকে অভ্রের টুকরো সংগ্রহের কারণ উঠে এসেছে রিপোর্টে।
এছাড়া কোডার্মার ওই বয়সি ৪৫ জন, গিরিডির ৪০ জন এবং নওয়াদার ১৫জন শিশু অভ্র খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এই সমীক্ষার পর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার বহু পরিবারের একমাত্র রুটি-রুজি হল অভ্রের টুকরো সংগ্রহ করা। আর তাই বহু পরিবার মনে করে সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর থেকে অভ্র সংগ্রহ এবং বিক্রি করার কাজে পাঠানো ঢের ভালো। কারণ, সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো ভাত জুটবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম অভ্র উৎপাদক দেশ হল ভারত। এবং ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে দেশের সর্বোচ্চ অভ্র উত্তোলন হয়।