বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে নিত্য সেনাবাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি উপত্যকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের সুযোগ করে দিতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার কাশ্মীর যাবে। দু’দিন কাশ্মীরে থাকার পর লাদাখ এবং জম্মুও পরিদর্শন করবে। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখবে ওই প্রতিনিধিদল। স্কুল, কলেজ, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, হাসপাতাল খোলার উদ্যোগ নেবে কেন্দ্র।
প্রতিদিন একটু একটু করে এক একটি এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার পাশাপাশি কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় উদ্যোগ বাড়িয়েছে সরকার। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যাতে কোনও অভাব না হয়, রোগী যাতে ওষুধ পান, তার জন্য বাড়তি উদ্যেগী কেন্দ্র। সেই মতো কাশ্মীরে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর ছড়াতেই বাড়তি ওষুধ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বসুধা গুপ্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে গত ২০ দিনে ২৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার ওষুধ পাঠানো হয়েছে। কোথাও কোন অভাব নেই। ৩৭৬টি নোটিফায়েড ওষুধ সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে। ৬২ রকমের জীবনদায়ী ওষুধও মিলছে। সব মিলিয়ে কাশ্মীরে বাড়তি ১৫ থেকে ২০ দিনের ওষুধ মজুত আছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রীনগরে ১৬৬৬টি ওষুধের দোকানের মধ্যে ১১৬৫টি খোলা আছে। কাশ্মীর উপত্যকায় ৭৬৩০টি খুচরো এবং ৪৩৩১টি পাইকারি ওষুধের দোকান রয়েছে। যার ৬৫ শতাংশই খোলা রয়েছে। তাই ওষুধের ঘাটতি নিয়ে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়।