বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আর দলেরই পরিচিত নেতাদের মুখে একপ্রকার এই মোদি বন্দনায় অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। না পারছে সিংভি, জয়রাম রমেশের খোলাখুলি সমালোচনা করতে, না দিতে পারছে তার পাল্টা কোনও মন্তব্য। এক প্রশ্নের উত্তরে আজ এআইসিসিতে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র তথা লোকসভার কংগ্রেস এমপি মণীশ তিওয়ারি বলেন, যাঁরা মন্তব্য করেছেন, তাঁদের কাছেই জানতে চান কেন বলেছেন। এ ব্যাপারে কংগ্রেস কোনও মন্তব্য করছে না। কিন্তু তাঁরা তো কংগ্রেসেরই নেতা। দলের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা কি নেওয়া হবে? প্রশ্ন করায় মণীশ তিওয়ারি বলেন, যে মহানুভবরা ওইসব বলেছেন, তাঁদেরই জিজ্ঞেস করুন। আর দল কী করবে না করবে, তা সময় মতো আপনারা দেখতেই পাবেন। তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করে বিমান ধরার তাড়া আছে বলে এআইসিসি ছাড়লেন দলের মুখপাত্র।
রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খোদ রাহুল গান্ধী ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানে সরব হলেও নির্বাচনের ফলাফলে কোনও লাভ হয়নি। তাই সরাসরি সব ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন ড. মনমোহন সিং সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। বলেছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি যে কাজ করেছেন, তার মধ্যে যেগুলি ভালো, তার বাহবাও দেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে উজ্জ্বলা যোজনার প্রসঙ্গ টেনেছেন জয়রাম। তাঁর সুর ধরেই সিংভি ট্যুইট করে বলেছেন, সর্বদা নরেন্দ্র মোদিকে যেকোনও ব্যাপারে দায়ী করা ঠিক নয়। তিনি কেবল আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, একতরফা আক্রমণ পরোক্ষে তাঁকে সাহায্যই করছে। তাই ব্যক্তিকে নয়, ইস্যু ভিত্তিক সমালোচনাই ঠিক।