বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চিদম্বরম আজ আদালতে বলেন, আমার বিদেশে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। চিদম্বরমের আইনজীবীরা বলেন, যে সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সিবিআই দুর্নীতির কথা বলছে সেই সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে নেওয়া হয়। ৬ জন সচিব স্তরের অফিসারও সিদ্ধান্তগ্রহণ বৈঠকে ছিলেন। অথচ আর কাউকেই অভিযুক্ত করা হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে সিবিআইয়ের টার্গেট যেভাবেই হোক শুধু চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করা। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের অভিযোগ, বিশেষ বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দিতে সহায়তা করার জন্য আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা ২০০৭ সালে চিদম্বরম পুত্রকে মোটা অঙ্কের কমিশন দেয়। গত বছর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়ে এই অভিযোগ করেন মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ইন্দ্রাণী এখন ওই জেলেই রয়েছেন তাঁর নিজের কন্যা শিনা বোরাকে হত্যা করে দেহ লোপাট করা সংক্রান্ত একটি খুনের মামলায়। আজ চিদম্বরমের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবীদের যুক্তি ফলপ্রসূ হয়নি। পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন তাঁর পরিবারের সদস্যরা আধ ঘণ্টার জন্য সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। শুধুই আইএনএক্স মামলা নয়, সিবিআই চিদম্বরমকে জেরা করছে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর অন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও। অর্থাৎ আর কাকে কাকে তিনি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, এখন তদন্তের কেন্দ্রে সেটাও।
গতকাল রাতে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হলেও চিদম্বরমকে গতকাল জেরা করা হয়নি। আজ সকাল ১১টা থেকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারপর বিকেলে তাঁকে হাজির করানো হয় বিশেষ সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআই সবথেকে বেশি জোর দেয় একটি বিষয়ে—চিদম্বরম তদন্তে সহায়তাই করছেন না। এরপরই চিদম্বরম আদালতে আবেদন করেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে তিনি সওয়াল জবাবে অংশ নিতে চান। তঁাকে যেন বলার অনুমতি দেওয়া হয়। সিবিআই বিরোধিতা করলেও আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। সুতরাং আগামী সপ্তাহে তাঁকে ফের যখন হাজির করা হবে, আইনজীবীদের পাশাপাশি তখন আত্মপক্ষ সমর্থনে অবতীর্ণ হবেন মাদ্রাজ ল কলেজ থেকে আইন ও হার্ভার্ড থেকে এমবিএ করা চিদম্বরমও।