কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কে এই অসীম ঘোষ? বাংলায় গেরুয়া বাহিনীর প্রতিষ্ঠায় অসীমবাবুর ভূমিকা রয়েছে। রাজনৈতিক জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন পেশায় অধ্যাপক এই মানুষটি। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ এই সময়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তিনি। তার আগে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ দু’বছর পার্টির সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ অসীম ঘোষ রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এই বিজেপি নেতা সর্বভারতীয় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। দলের তরফে ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত কাজ করেছেন। বর্তমানে রাজ্য বিজেপি দিলীপ ঘোষের বিশেষ পরমার্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন অসীমবাবু। যে কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-আইপিএস-শিক্ষাবিদ সহ বাছাই করা বিশিষ্টজনরা রয়েছেন। এবার আসা যাক শিক্ষাবিদ অসীমবাবুর অতীতে। কলকাতার মহারাজা শ্রীশচন্দ্র কলেজে প্রায় ৩৮ বছর অধ্যাপনা করেছেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন অসীম ঘোষ। এছাড়াও প্রায় ১২ বছর বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) টিচার ফেলো হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। ভারতবর্ষের মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে ফেলোশিপ করেছিলেন অসীমবাবু। এই বিষয়ে গুজরাত, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ ছিল তাঁর কাজের ক্ষেত্র।
অসীমবাবুর আগে বিজেপির দু’জন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দেশের রাজ্যপাল ছিলেন কিংবা রয়েছেন। প্রথমজন বাংলা বিজেপির দ্বিতীয় রাজ্য সভাপতি প্রয়াত বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক অটলবিহারী বাজপেয়ির জমানায় উত্তরপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদি জমানায় দলের আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় ত্রিপুরার রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগতবাবু।
অসীমবাবুকে রাজ্যপাল করতে চেয়ে রাজ্য বিজেপির এই উদ্যোগের পিছনে রাজনৈতিক কৌশলও রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পর দলের ‘নব্য’দের প্রভাব বাড়ছে। এক্ষেত্রে অসীমবাবুর মতো ‘আদি’ নেতাকে যোগ্য সম্মান দিয়ে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে দল। যার মূল কথা, পার্টির দুঃসময়ে যাঁরা সঙ্গী ছিলেন, চরম সাফল্যেও দল তাঁদের ভোলেনি। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ সভাপতি হওয়ার পর থেকে রাজ্য পার্টিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন অসীম ঘোষ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তথাকথিত দিলীপ বিরোধীদেরও ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে বলেই মনে করছে দল।