দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
একইসঙ্গে বিষয়টিকে স্রেফ কংগ্রেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মোদি বিরোধী আকার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলি যাতে এই ইস্যুতে সহমত পোষণ করে, তার জন্য কংগ্রেসের ম্যানেজাররা তলে তলে বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। সংসদে যেভাবে মোদি বিরোধিতা বজায় রাখা হয়েছিল, একইভাবে এখনও জোটবদ্ধ রাখার চেষ্টা হচ্ছে। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা চেন্নাইতে ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনের মন্তব্য তারই ফলশ্রুতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক সূত্রে খবর, মিডিয়া হাউসকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মামলা নিয়ে পি চিদম্বমের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। আজ নয়। বছর দুয়েক আগেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ১০ জনপথে এই ব্যাপারে যাবতীয় ফাইল, অর্থমন্ত্রী থাকার সময় এফআইপিবি’র (ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড) সিদ্ধান্ত সম্বলিত কাগজ ইত্যাদি নিয়ে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে বুঝিয়েছিলেন চিদম্বরম। অর্থমন্ত্রী এফআইপিবি’র সদস্যই নয়। সরকারের চার মন্ত্রকের সচিব হলেন তার মূল সদস্য। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন। তাই সেখানে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই বলেই সোনিয়াকে বুঝিয়েছিলেন চিদম্বরম। এছাড়া নিজের পক্ষে সাফাই দিয়েও কংগ্রেস নেত্রীর ভরসা আদায় করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তখন থেকেই সোনিয়া গান্ধীর দলকে নির্দেশ ছিল, এই মামলায় চিদম্বরমের পাশে থাকবে দল।
সেই মতো গতকাল দলের সর্বোচ্চ মঞ্চ এআইসিসিতে আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিবাল, সলমন খুরশিদের মতো দলের তাবড় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চিদম্বরমকে তাঁর নিজের পক্ষে সাফাই দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে প্রচার শুরু করেছে, তা বজায় রাখা হবে বলেই ঠিক হয়েছে। আজ সকালেও দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে এআইসিসি। বেছে বেছে বিরোধীদের প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মোদি সরকার সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলেই তোপ দেগেছেন এআইসিসির প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, মামলাটি পুরনো, এতদিন কেন চুপ করে বসেছিল মোদি সরকার? দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বেহাল অবস্থা, কর্মসংস্থানের করুণ অবস্থার মতো বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই সরকার বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করছে। আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে বলেই আক্রমণ চড়িয়েছে কংগ্রেস। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলকে পি চিদম্বরম বিদেশি বিনিয়োগে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। চিদম্বরম পুত্র কার্তি ওই কোম্পানির হয়ে মধ্যস্থতা করছিলেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু একজন খুনের মামলায় অভিযুক্ত কী বললেন, তার ওপর ভিত্তি করে সিবিআই এবং ইডি যেভাবে চিদম্বরমের মতো একজন নিপাট ভদ্রলোককে হেনস্থা করছে, গ্রেপ্তার করেছে, তা গণতন্ত্রর পক্ষে সর্বনাশ বলেও দাবি করেছে কংগ্রেস।
সুরজেওয়ালা বলেন, চোখের সামনে গণতন্ত্রর এই হত্যা দেখে গোটা দেশের সচেতন মানুষের প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত। চিদম্বরমকে নিষ্পাপ আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি সিবিআইকে এক হাত নিয়ে সুরজেওয়ালা এদিন বলেন, গতকাল রাতে যে অফিসাররা পি চিদম্বমের বাড়ির পাঁচিল টপকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে চেয়েছেন, আশাকরি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলার সাহস রাখবেন যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সামান্যতম প্রমাণও তাঁদের কাছে নেই।