কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ফের একবার গ্রামীণ ভারতবর্ষের অন্যচিত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে এল। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলার নারায়ণপুর গ্রামের। একটি মৃতদেহকে কেন ব্রিজ থেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে সেতু থেকে নামানো হল? তার কারণ খুঁজতে গিয়ে শিউরে উঠছে নেট দুনিয়া। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি দলিত সম্প্রদায়ের। কয়েক দিন আগে দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান। ওই গ্রামের ৫০ ঘর দলিত মূলত মরদেহ কবর দিতেন। কিন্তু অপঘাতে মৃতদের শ্মশানে পোড়ানো হয়। ওই ব্যক্তির দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা আসে উচ্চবর্ণের কাছ থেকে। শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন না তাঁরা। কারণ, রাস্তাটি উচ্চবর্ণের দুই ব্যক্তির জমির উপর দিয়ে গিয়েছে। মৃতের আত্মীয় বিজয় অভিযোগ করলেন, দশ বছর আগে গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকজন ওই জমিতে বেড়া দিয়েছে। আমরা কিছু বলিনি। এখন মরদেহ নিয়ে ওই জমি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা রাস্তা বা অন্যত্র শ্মশান চাই। যদিও মৃতের বাড়ির এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন। পুলিসের বক্তব্য, গত কয়েক দশকে এই ধরনের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কারণ, কোনও অপঘাতে মৃত্যুই হয়নি। আর এদিন জমির মালিকের কাছে রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি কেউ চায়নি। আরও এক ধাপ এগিয়ে জেলাশাসক এ সন্মুগ সুন্দরম বলেন, নদীর চরে যে অস্থায়ী শ্মশান গড়ে তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। তবে, আগামী দিনে অন্যত্র কিছু ব্যবস্থা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। একই বক্তব্য সাব-কালেক্টর বি প্রিয়াঙ্কার। তিনি বলেছেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। যদি প্রয়োজন পড়ে অন্য কোথাও শ্মশানের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশাসনের এই বক্তব্য মানছে না মৃতের পরিবার। উচ্চবর্ণের জমি দিয়ে হেঁটে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। তামিলনাড়ুতে জাতপাতের ঘৃণ্য চিত্র এর আগেও দেখা গিয়েছিল। মাদুরাই জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে দলিত প্রার্থী দাঁড়ানোর খেসারত দিতে হয়েছিল পুরো গ্রামকে।