কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এই প্রজন্ম যে চিঠি লেখা ভুলতে বসেছে, সেই অভিজ্ঞতার কথা প্রায়শই শোনা যায় নানামুখে। অনেকেই বলেন, নতুন প্রজন্ম চিঠি লিখতে চায়। কিন্তু সেই চিঠি লিখবে কাকে, সেটাই তারা খুঁজে পায় না। নাগালেই বন্ধুরা। যাঁরা নাগালের বাইরে, তাঁদের সঙ্গে নিত্য যোগ ফোনে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই চিঠি লেখার সুযোগ বা অবকাশ নেই। প্রদীপ জ্বালানোর সেই সলতেটাই পাকাতে চাইছে ডাকবিভাগ। আসলে, শুধু সাদা কাগজে কিছু একটা লেখাই শুধু নয়। সেই চিঠি খামে মুড়ে বা ইনল্যান্ড লেটারের মুখ বন্ধ করে, তা ডাক বাক্সে ফেলার আনন্দটুকুও ফিরিয়ে দিতে চায় ডাকবিভাগ। সবাই নাই বা পেল পুরস্কার। কিন্তু চিঠি লিখে যে অনাবিল আনন্দ পাবে কচিকাঁচারা, তাই বা কম কী?
ডাক বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, ইংরেজি, হিন্দি এবং বাংলায় চিঠি লেখা যাবে। অবশ্য যে কোনও আঞ্চলিক ভাষায় চিঠি লেখার সুযোগ রয়েছে। প্রতিযোগিতার দু’টি ভাগ। একটি জাতীয় স্তরে। সেখানে প্রথম পুরস্কারের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এরপর রয়েছে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার, যার অর্থমূল্য যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা। রাজ্য স্তরে যে প্রতিযোগিতা, সেখানে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা। পরবর্তী পুরস্কারগুলির অর্থমূল্য ১০ হাজার এবং পাঁচ হাজার টাকা। চিঠি সরাসরি পাঠাতে হবে যোগাযোগ ভবনে, অর্থাৎ রাজ্যের ডাক বিভাগের মূল অফিসের ঠিকানায়। দেশজুড়ে যে প্রতিযোগিতা হবে, তার চূড়ান্ত ঘোষণা হবে দিল্লি থেকে। রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতার বিচার করবেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা, এমনটাই জানা গিয়েছে। ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, শুধু বাণিজ্যিক কারণে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়নি একেবারেই। চিঠি লেখার অভ্যাস টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টাই আমরা করছি মাত্র। এবারের বিষয় মহাত্মা গান্ধী। তাঁর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী পালন করার একটি অংশ এই উদ্যোগ। আশা করি, নয়া প্রজন্ম আমাদের ডাকে সাড়া দেবে।