বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া বিজ্ঞপ্তির তথ্য ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন (আইএমএফ) এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের পূর্বাঞ্চলীয় সম্পাদক তথা এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী দেবরাজ দত্ত বলেন, এতদিন এই সমস্ত শৃঙ্গ অভিযান করতে হলে প্রথমে আইএমএফের থেকে অনুমতি নিতে হত। তারপরে সেই অনুমতির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিশেষ অভিযানে যাওয়ার অনুমতি চাইতে হত। কিন্তু, এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট জটিল ছিল। নিয়মের কড়াকড়িও মারাত্মকভাবে ছিল। তাই এই পর্বতশৃঙ্গগুলি অভিযানে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যেত না। তবে এই বিজ্ঞপ্তির ফলে এবার থেকে আর কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আলাদা করে অনুমতি নিতে লাগবে না। শুধুমাত্র আইএমএফের অনুমতি নিলেই এই ১৩৭টি শৃঙ্গ অভিযানে যেতে পারবেন পর্বতারোহীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুব খুশি ভারতীয় পর্বতারোহীরা। এছাড়াও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের কাছেও এর আগ্রহ মারাত্মকভাবে রয়েছে। ১৩৭টি শৃঙ্গের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ৫১টি, সিকিমের ২৪টি, কাশ্মীরের ১৫টি এবং হিমাচল প্রদেশের ৪৭টি শৃঙ্গ রয়েছে। তবে এই এলাকায় যাতায়াত, ছবি বা ভিডিও তোলা এবং স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কড়া নিয়ম লাগু করা থাকছে। তা মেনে চলতে হবে সব পর্বতারোহী বা অভিযাত্রীদের।
এদিকে, এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানের পথ ফের উন্মুক্ত করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সিকিম। প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে এই পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে পর্যন্ত সিকিমের দিক দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা যাওয়ার অনুমতি ছিল। এবিষয়ে প্রচলিত রয়েছে সিকিমের যে অংশের উপর দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান করতে হবে, তা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র এলাকা। একইভাবে সিকিমের আরও ১১টি পর্বতশৃঙ্গ এলাকাকেও পবিত্র বলে বিশ্বাস করেন সিকিমবাসীরা। তাই এগুলি এতদিন বন্ধ করা হয়েছিল। এবার সিকিমের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া সেগুলিকে ফের উন্মুক্ত করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। সিকিম মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুনজাং গ্যাতসো বলেন, এবিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। তাঁরা সিকিম পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানানো হবে। আশা করা যায় কেন্দ্র তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করবে।