বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, যমুনার জল ঘরে ঢুকতে শুরু করলে নুরজাহান নামের ওই মহিলা দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গাছে উঠে যান। অনেক রাতে তাঁর রিকশচালক স্বামী ঘরে ফিরলে তিনিও গাছে বসে থাকেন। এইভাবে সারারাত কাটার পর সকালে পুলিসের কাছে খবর পৌঁছয়। পুলিস ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর হল যমুনার জলস্তর নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপদসীমার নীচে নামেনি। কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বেলা ২টা নাগাদ জলস্তর ছিল ২০৬.৬০ মিটার। বিকেল পাঁচটায় নেমে হয়েছে ২০৬.৫০ মিটার। এদিন সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, নতুন করে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
তবে, কেরলে আগামী পাঁচদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই কেরলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২৫ ছাড়াল। মালাপ্পুরম এবং ওয়ানাড় জেলায় ভূমিধসে ঘটনায় বুধবার আরও দু’টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১৭জন। শুধুমাত্র মালাপ্পুরম জেলায় ৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ আরও ১১। প্রতিবেশী জেলা ওয়ানাড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪জন। পাঁচ জনের হদিশ মিলছে না। এদিকে, ওড়িশাতে নতুন করে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে পাঁচজন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। আগামী চারদিন ভারী বৃষ্টি চলবে বলে ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া দপ্তর সর্তকতা জারি করেছে। ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জাজপুর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, কটক, খুর্দা, পুরী, কান্ধামল, জগৎসিংহপুর, গঞ্জাম এবং বালেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে।