কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষ দিকে অবসর নিতে পারে ওই রুশ ফাইটার। বায়ুসেনা প্রধান আরও জানিয়েছেন, মিগ-২১ সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ৯৫ শতাংশ যন্ত্রাংশই এখন ভারতে নির্মিত হয়। কারণ, রাশিয়া এখন আর ওই যুদ্ধবিমান চালায় না।
ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখায় এখনও পুরনো মিগ-২১ নিয়েই নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। অন্যদিকে, উন্নত প্রযুক্তির এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে পাক সেনাবাহিনী। কয়েকমাস আগে দুই দেশের বায়ুসেনার মধ্যে আঘাত-প্রত্যাঘাতের সময় মিগ-২১ বিমানের জন্য বড়সড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ভারতীয় বায়ুসেনাকে। ১৯৭৩-৭৪ সাল নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনায় নাম লিখিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১। তারপর থেকে গত ৪৪ বছর ধরে এই রুশ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করছে ভারত। একাধিকবার দুর্ঘটনায় পড়ে বিমান চালকের মৃত্যুও ঘটেছে। সম্প্রতি, বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পর দিনই নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক এফ-১৬ বিমানের সঙ্গে ডগ ফাইটে অংশগ্রহণ করে মিগ-২১ বাইসন। ওই যুদ্ধ বিমানটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু, উন্নত এফ-১৬-এর হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় অভিনন্দনের যুদ্ধ বিমান।
এদিন মিগ-২১ নিয়ে নিজের খেদের কথা জানানোর পাশাপাশি সীমান্তে চলতে থাকা উত্তেজনা নিয়েও পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা দেন বায়ুসেনা প্রধান। দিনকয়েক আগেই পাকিস্তানকে এনিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। সেই সুরে সুর মিলিয়েই এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানান, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী কতটা তৈরি, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জওয়ানরা।
এদিন বায়ুসেনা প্রধান জানান, পাকিস্তানের যে কোনও ধরনের প্ররোচনামূলক হামলার কড়া জবাব দিতে তৈরি রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সহ গোটা এলাকায় বায়ুসেনার সজাগ নজর রয়েছে বলেও মঙ্গলবার জানিয়েছেন তিনি। বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ‘শত্রুপক্ষের অবস্থান যাই হোক না কেন, সীমান্ত এলাকায় প্রতি মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার সজাগ নজর রয়েছে। কখনও কখনও যাত্রীবাহী বিমানও সীমানা অতিক্রম করে ফেলে, সেই সমস্ত পরিস্থিতিরও মোকাবিলা করতে হয় আমাদের।’
কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তান যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিল একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। জবাবে পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করে ভারতও। দিনকয়েক আগে ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যদি তারা যুদ্ধে যেতে চায়, তবে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। যদি আঘাত আসে তবে প্রত্যাঘাতে কোনও কসুর রাখবে না ভারতও। এরপরেই কোনওরকম দুঃসাহসিক পদক্ষেপ না নিতে পাকিস্তানকে পরামর্শও দেন তিনি।