পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। সেই মতো এদিন সকাল সাড়ে আটটার পর থেকেই বিজ্ঞানীদের টেনশন বাড়তে শুরু করে। রুদ্ধশ্বাস মুহর্ত সঙ্গী করে সকাল ঠিক ন’টা দু’মিনিটে চন্দ্রযান-২ সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে যায়। এই সময় চন্দ্রযান ২’এর গতিকে বেশ কিছুটা কমিয়ে এনে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সেটিকে স্থাপন করা হয়। ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এরপর ১৩ দিনের কঠিন যাত্রাপথ শেষ করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০ কিমি উচ্চতার কক্ষপথে পৌঁছে যাবে। এর মধ্যে অবশ্য চারবার কঠিন বাধা পার হতে হবে চন্দ্রযান-২’কে। চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে খেতে চন্দ্রযান-২’এর থেকে কখনও চাঁদের দূরত্ব হবে ১৮০ কিমি, আবার কখনও সেই দূরত্বই বেড়ে হবে ১৮ হাজার কিমি। এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে সেটি ১ সেপ্টেম্বর চাঁদের ১০০ কিমি কাছের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে। আর ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২’এ থাকা ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এদিনের সাফল্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে নতুন নয়। কারণ ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১’ও চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। সেক্ষেত্রে আগামীর পথ আরও কঠিন এবং উদ্বেগজনক। বিশেষ করে চন্দ্রযান-২ থেকে যেদিন (৭ সেপ্টেম্বর) ল্যান্ডার এবং রোভারটিকে চাঁদের মাটিতে নামানো হবে, সেটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন ভারত সফল হলে, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ইসরোর মুকুটে নয়া পালক সংযুক্ত হবে। সেই সঙ্গে চাঁদের একেবারে দক্ষিণে অর্থাৎ অন্ধকার অংশে পৌঁছে ইতিহাস গড়বে ভারত। সেদিকেই এখন তাকিয়ে বিজ্ঞানীরা। এদিকে, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এদিনের সাফল্যে ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অনেক অভিনন্দন। চাঁদের উদ্দেশে যাত্রায় এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ছবি: পিটিআই