বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছোট দোকানদারদের পেনশন দেওয়ার কর্মসূচি কী? গত ৫ জুলাই সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, এবার থেকে ছোট দোকানদারদের জন্যও মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র সরকার। এর নাম দেওয়া হয় ‘প্রধানমন্ত্রী লঘু ব্যাপারী মানধন যোজনা’। দেশের যেসব দোকানদার অথবা ব্যবসায়ীদের জিএসটি টার্নওভার দেড় কোটির নিচে, একমাত্র তাঁরাই এই প্রকল্পের আওতায় থাকবেন। এবং ৬০ বছর বয়সের পর এই প্রকল্পের অধীন ছোট দোকানদার অথবা ব্যবসায়ীরা মাসে তিন হাজার টাকার নিশ্চিত পেনশন পাবেন। যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, তাঁরাই এই প্রকল্পে নাম লেখাতে পারবেন। এর জন্য তৈরি হবে পেনশন ফান্ডও। ব্যবসায়ীরা সারা দেশের প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নাম লেখাতে পারবে বলেও ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের জন্য এই কর্মসূচিতে অনুমোদিত বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। এর আগে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ চালু করেছে কেন্দ্র। যেখানে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা ৬০ বছর বয়সের পর মাসে তিন হাজার টাকা নিশ্চিত পেনশন পাবেন বলে কেন্দ্র ঘোষণা করেছে। ছোট দোকানদারদের জন্য ঘোষিত এই পেনশন প্রকল্প আদতে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’রই একটি বর্ধিত রূপ।
জানা যাচ্ছে, গতকাল সোমবার বিকেলে দিল্লির শ্রমশক্তি ভবনে ‘প্রধানমন্ত্রী লঘু ব্যাপারী মানধন যোজনা’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন ধার্য হয়েছিল। যার উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ারের। আচমকাই একেবারে শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। পরবর্তী উদ্বোধনের দিন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যাশিতভাবেই একে কেন্দ্র করে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আগামীকাল, বুধবার হায়দরাবাদে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনে অছি পরিষদ। কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) পেনশন এবং বার্ষিক সুদের হার নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগে ছোট দোকানদারদের জন্য পেনশন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাতিল করে কেন্দ্র কি কোনও বার্তা দিচ্ছে? এমনই প্রশ্ন উঠছে।