গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অথচ এদিনই কেন্দ্রের তরফে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) বিবৃতিতে ১৯৪৫ সালের এই দিনটিকে নেতাজির প্রয়াণ দিবস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারাও নেতাজির মৃত্যুদিন হিসেবে এই দিনটিকে স্মরণ করেছেন। যার জেরে দেশজুড়ে নেতাজি রহস্য নিয়ে বিতর্ক ফের নতুন মাত্রা পেতে চলেছে।
নেতাজির রহস্যাবৃত অন্তর্ধান ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক গত সাত দশক ধরে চলে আসছে। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকুতে ঠিক কী ঘটেছিল, সেই প্রশ্নের মধ্যেই রহস্যের কিনারা থাকলেও তা অধরা। ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে কলকাতা পুলিসের হাতে থাকা নেতাজি বিষয়ক ৬৪টি ক্লাসিফায়েড ফাইল সাধারণের জন্য প্রকাশ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার যাতে তাদের হেফাজতে থাকা ১৩০টি ক্লাসিফায়েড ফাইল প্রকাশ করে, তারও দাবি তোলেন মমতা। স্বভাবতই, তাঁর জন্মজয়ন্তী পালন করা হলেও অন্তর্ধান দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই দিনটিকে। সেই পটভূমিতে এদিন মমতা ট্যুইট করে তাঁর পুরনো দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। কোনও দুর্ঘটনার তত্ত্বকে মমতা আমল দেননি। তিনি বলেছেন, আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজি তাইওয়ানের তাইহোকুতে বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন। আমরা আজও জানি না, এরপর কী হয়েছে। দেশমাতৃকার বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দিনটিকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকী বলে দাবি করা হয়েছে। একই সুরে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট পর্যন্ত একাধিক নেতা ‘পুণ্য তিথি’ বলে উল্লেখ করে এই দিনটি স্মরণ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অর্থাৎ নেতাজির মৃত্যু নিয়ে শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান এক বিন্দুতে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে ওই ট্যুইটবার্তা পরিস্থিতি জটিলতর করে তুলেছে। ইতিমধ্যে নেতাজির পরিবারের সদস্য রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্র বসু কার্যত মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে এই বিষয়ে ‘সিট’ গঠন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অথচ কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর তত্ত্বকে পক্ষান্তরে সিলমোহর দিল কেন্দ্র। রাজনীতিতে বিপরীত মেরুর হলেও কেন্দ্রের হাতে থাকা নেতাজি সম্পর্কিত ক্লাসিফায়েড ফাইলগুলি প্রকাশ করা নিয়ে মমতার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন চন্দ্র বসু। ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে দেবব্রত বিশ্বাসও পরোক্ষে মমতার পক্ষ নিয়ে কেন্দ্রের বর্তমান ও প্রাক্তন শাসক দলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন।