বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, জিতেনের এক ছেলে ও এক মেয়ে। কাজ করেন দিল্লির একটি কারখানায়। তাঁর ১২ বছরের মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসা করাতে দিল্লিতে এনেছিলেন মেয়েকে। রেখেছিলেন দিল্লির জেজে কলোনিতে নিজের বোনের বাড়িতে। দোলের দিন এখানকার ফার্নিচার মার্কেট থেকেই রিকশ ধরেছিল মেয়েটি। রিকশওয়ালা তাকে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিসের একটি দল জেজে কলোনিতে যায়। কিন্তু সেখানে ‘খুরজা’ বলে কোনও স্থানের খোঁজ পায়নি তারা। তবে দিল্লিতে ‘খাজুরি খাস’ এবং ‘খুরেজি’ নামে দু’টি এলাকা রয়েছে। ওই দুই এলাকায় গিয়েও কিশোরীর পরিবারের খোঁজ মেলেনি। এমনকী জেজে কলোনির বাসিন্দারা মেয়েটিকে চিনতে পারেননি। পরে পুলিসি জেরায় ওই কিশোরী জানায়, সে উত্তরপ্রদেশ থেকে পিন্টু নামে এক কাকুর সঙ্গে দিল্লিতে আসে। তাতে সন্দেহ বাড়ে পুলিসের। সঙ্গে সঙ্গে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে অবশ্য সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে পুলিস জানিয়েছে। এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই কিশোরীকে। কিন্তু কিশোরীর পরিবারের খোঁজে হাল ছাড়েনি দিল্লি পুলিস।
শেষ পর্যন্ত গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার ‘খুরজা’ গ্রামের হদিস পায় পুলিস। প্রথমে সেই গ্রামে গিয়েও ধাক্কা খান তদন্তকারীরা। ওই কিশোরীর বাবা জিতেনের সন্ধান দিতে পারেননি গ্রামবাসীরা। পরে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে পাশের গ্রামের নাম জানতে পারে পুলিস। সোনবরসা বলে একটি গ্রামের নামটি কোনওরকমে উচ্চারণ করেছিল মেয়েটি। সেই গ্রামেই বাপের বাড়িতে থাকেন কিশোরীর মা। সেই সূত্র ধরে জিতেনের খোঁজ পায় পুলিস। জিতেন পুলিসকে জানিয়েছেন, মেয়েকে চিকিৎসা করাতে দিল্লিতে তিনিই এনেছিলেন। পিন্টু নামের কোনও কাকুর সঙ্গে তাঁর মেয়ে আসেনি।