রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মোদি সরকারের এই স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। জমির খোঁজ শুরুর পাশাপাশি কয়েকদিন আগে এ ব্যাপারে মতের আদানপ্রদান করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রাথমিকভাবে ইন্ডিয়া গেটের সামনে ৩৭ একরের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামকে সরকার পছন্দের তালিকায় রেখেছে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় পছন্দ সফদরজং এয়ারপোর্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এটি পুরোদমে ব্যবহার হলেও, এখানে এখন আর নিয়মিত বিমান ওঠানামা হয় না। তাই এখানে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। সফদরজং বিমানবন্দরের রয়েছে ১৯০ একর জমি।
যদিও বর্তমান সংসদ ভবনকে স্রেফ সংগ্রহশালার রূপ দিয়ে লোকসভা, রাজ্যসভার অধিবেশন, সংসদীয় কমিটির বৈঠক ইত্যাদির জন্য সম্পূর্ণ নতুন সংসদ ভবন তৈরির প্রসঙ্গে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে। কারণ, প্রথম কারণ অবশ্যই আবেগ। দ্বিতীয়ত, এমপিদের বেশিরভাগই চান ঐতিহ্যশালী ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত মন্দিরেই আইনসভা অটুট থাকুক। প্রয়োজনে সংস্কার হোক। কিন্তু সরানো নয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেছেন, ‘অনেকেরই আপত্তি রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরও বয়স হয়েছে। ৯২ বছর হয়ে গেল। তাই সবার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।’
ছ’ একর জমির উপর ৫৬০ ফুট গোলাকার বর্তমান ঐতিহ্যশালী সংসদ ভবনটি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বাট বেকার। ১৯২১ সালে শুরু হয় গড়া। শেষ হয়েছিল ১৯২৭ সালে। এখানেই বসেছিল ভারতের কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি। যা এখন সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হল। এছাড়া সংসদ ভবনে রয়েছে ৫৪৫ সদস্যের লোকসভা, ২৪৫ আসনের রাজ্যসভা। রয়েছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহ বেশ কিছু ক্যাবিনেট মিনিস্টারের ঘর। সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ঘর। রাজনৈতিক দলের অফিস। ক্যান্টিন।
২০১২ সালে এই ক্যান্টিনের একটি অংশে আগুন লাগার পরেই প্রথম শুরু হয় সংসদ ভবন সরানোর আলোচনা। উদ্যোগ নেন তৎকালীন স্পিকার কংগ্রেসের মীরাকুমার। ২০১৪ সালে মোদি সরকারের নগরোয়ন্নয়নমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু সেই উদ্যোগ বাড়ান। কিন্তু বেশিরভাগ এমপির আপত্তিতে তা আটকে যায়। তবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা উল্লেখ করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উৎসাহ প্রকাশ করেছেন নতুন ভবনের।’ আর তাতেই নতুন সংসদ ভবন তৈরির বিষয়টি নিয়ে সরকারের পক্ষে গতি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, নরেন্দ্র মোদি সংস্কারের তালিকায় যা কিছু রাখেন, বাস্তবে তা একপ্রকার করেই ছাড়েন বলেই রাজনৈতিক মহলেরর মত। তা নিয়ে যত সমালোচনার ঝড়ই বয়ে যাক না কেন!