হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ওই ১১ জন রোগীর নিখরচায় পরবর্তী চিকিৎসার নির্দেশ দেন। সরকারি তরফে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে জাদিয়ার মতে, অস্ত্রোপচারের জেরেই ওই ১১ রোগীর চোখে কোনওভাবে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। সেকারণেই তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। ওই রোগীদের এখন চৈত্রম নেত্রালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজীব রমন সহ দুই বিশেষজ্ঞ ইন্দোরে আসছেন। তাঁরাই ওই ১১ জনকে পরীক্ষা করে বলবেন যে, তাঁরা দৃষ্টিশক্তি আদৌ ফিরে পাবেন কি না।
জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেস-এর আওতায় গত ৮ আগস্ট ইন্দোর নেত্র চিকিৎসালয়ে ১৩ জন রোগীর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জন অস্ত্রোপচারের পর অভিযোগ করেন যে, তাঁরা চোখে ঝাপসা দেখছেন।’ ন’বছর আগেও ওই হাসপাতালে ১৮ জন রোগীর ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে একইভাবে রোগীদের চোখে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপরও কীভাবে ওই হাসপাতাল ফের ছানি অপারেশনের দায়িত্ব পেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাদিয়া বলেন, ‘আমরা ওই ১১ জন রোগীর কীভাবে সংক্রমণ হল, তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি। অস্ত্রোপচারের সময় না তারপর সংক্রমণ হয়েছে তা দেখা হচ্ছে।’ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুলসীরাম সিলাওয়াত ওই ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।