পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লিখিত চিঠিতে (নং- U-25/12/Pending Payments/2019-Med-V) ডিজিইএসআইসি রেট কন্ট্রাক্টের সহ-অধিকর্তা জয় সিং লিখেছেন, ‘পাওনা বকেয়া রাখা ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রচুর ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার কাছ থেকে নির্দিষ্ট মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে। তারা স্পষ্টই জানিয়েছে, শর্ত মোতাবেক তাদের পাওনা টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি এও জানিয়েছে, সময়মতো তাদের বকেয়া টাকা মেটানো না হলে ভবিষ্যতে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হবে। অর্থাৎ ইএসআই গ্রাহকেরা যে চিকিৎসা পরিষেবা পান, তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। আর এর জন্য দায়ী হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিই।’ ওই শীর্ষ আধিকারিক নির্দেশ দিয়েছেন, ‘অবিলম্বে অনুমোদিত ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলির বকেয়া পাওনা মেটানো হোক এবং অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হোক ইএসআইসি সদর দপ্তরে।’ যদিও এই বকেয়া পাওনার পরিমাণ ঠিক কত, সেই সম্পর্কে উল্লিখিত চিঠিতে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এই মুহূর্তে দেশের যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান কিংবা কলকারখানায় ন্যূনতম ১০ জন কর্মী থাকেন, সেই সংস্থাগুলি কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের আওতায় থাকে। আর ওই কর্মীদের মধ্যে যাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবেই এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা পরিষেবা ইএসআইয়ের অধীনে থাকেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মী তো বটেই, তাঁর উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরাও শর্তসাপেক্ষে ইএসআই চিকিৎসা পরিষেবা পান। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন ইএসআইসির সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে প্রায় তিন কোটির বেশি শ্রমিক-কর্মচারী এর সঙ্গে যুক্ত। আর এর মোট উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এত বেশি মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও কেন ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন থাকছে না সরকার? কেন সময়মতো ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলির বকেয়া পাওনা না মিটিয়ে ইএসআই হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিষেবাই বিঘ্নিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করে ইএসআই হাসাপাতালগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার এবং নার্সিং স্টাফ সহ প্যারা-মেডিক্যাল কর্মীদের অভাবের কথা জানিয়েছিল। আর সেই রিপোর্ট অনুসারে শুধু পশ্চিমবঙ্গের ইএসআই হাসপাতালগুলিতেই মেডিক্যাল অফিসারের পোস্টে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৮৬টি। আর নার্সিং স্টাফ সহ প্যারা-মেডিক্যাল কর্মীর শূন্যপদের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ৭৯৬টি। এবার এই ইএসআই হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত মানোন্নয়নের দাবিই উঠতে চলেছে বিভিন্ন মহলে।