বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টেলিফোন, ইন্টারনেট প্রসঙ্গের পাশাপাশি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ বিরোধিতা নিয়েও এদিন একই বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। তবে যে মর্মে ওই বিরোধিতার আবেদন করা হয়েছে, তা দেখে আবেদনকারী আইনজীবী এম এল শর্মাকে তীব্র ভৎর্সনার মুখে পড়তে হল। সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ভৎর্সনার সুরে বলেন, এ কী আবেদন হয়েছে? আধ ঘণ্টা ধরে পড়েও তো বোধগম্য হল না! ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ প্রক্রিয়ায় সরকারের উদ্যোগ, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অথচ সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদনই করেননি? এভাবে কোনও জনস্বার্থ মামলার আবেদন হয়? প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
যদিও ওই আবেদন সম্পূর্ণ খারিজ করছেন না বলেও জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। কারণ, প্রায় একই ধরনের আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাই সেগুলির উপর এর যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, তাই নতুন করে আবেদনকারী এম এল শর্মাকে নিখুঁত আবেদন জমা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগের বিরোধিতা করে মামলা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের এমপি হাসান মাসুদি সহ আরও কয়েকজন।
জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস শেষ করার পাশাপাশি রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করার পর থেকেই দেশের একাংশ বিরোধিতা সরব হয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলাও চলছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, টেলিফোন, ইন্টারনেটের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই মামলায় কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ বিষয়টিতে আবেদনকারীর বক্তব্য শুনলেও সরকারকে আরও কিছুদিন সময় দিয়েছিল। আজ প্রায় একই ধরনের আবেদনের শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
কাশ্মীরের এক সংবাদপত্রের এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিনের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার প্রধান বিচারপতির এজলাসে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, আমাদের বক্তব্য ৩৭০ নিয়ে নয়। আবেদন পরিস্থিতি নিয়ে। কেন সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে ওখানে কাজ করতে পারছে না? কেন বাধা আসছে? এতে তো সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। যদিও তাঁর বক্তব্যের পাল্টা তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসেটর জেনারেল। পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই উল্লেখ করেন তাঁরা। বলেন, তাই এখনই এই মামলায় সরকারের সমালোচনা করা উচিত নয়। সরকারের কথার সঙ্গে কিছুটা সহমত পোষণ করে বেঞ্চের অন্য বিচারপতি এস এ বোবডে বলেন, হ্যাঁ, ল্যান্ডলাইন ঠিক হয়েছে বলেই শুনেছি। আজই জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ল্যান্ডলাইনে কথা হয়েছে। প্রধান বিচারপতিও জানিয়ে দেন, এখনই এই মামলায় কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করব।