বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
একদিন আগেই রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সব ডেপুটি কমিশনার ও জেলা প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা দিবসে সব পঞ্চায়েতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালনের জন্য গতকালই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সব জেলায় প্রশাসনের তরফে মহড়া চালানো হয়েছিল। তারপর সন্ধ্যায় রাজভনের একটি বৈঠকে প্রশাসনের তরফে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানানো হয়। এদিন প্রধান সচিব রোহিত কানসাল বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মসৃণভাবে পালন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানটি হবে শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এজন্য মঙ্গলবার কাশ্মীর উপত্যকার সব জেলাতেই যে মহড়া চালানো হয়েছে, এদিন সেকথাও জানান তিনি।
এদিন নাগপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে এবার আরও বেশি উৎসাহের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনুপ্রবেশে মদতদাতা পাকিস্তান ও জঙ্গিদের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত সরকার। গাদকারির সুরেই কথা বলেছেন আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। বুধবার পানাজিতে তিনি বলেন, ৩৭০ ধারার নামে জম্মু ও কাশ্মীরের যে বহু পুরনো ক্ষত ছিল, কেন্দ্র তার উপশম করেছে। তাই এবার আরও তাৎপর্যের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হবে। এবার কাশ্মীর উপত্যকার মানুষ ‘প্রকৃত অর্থে’ই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। এবার দেশের অন্য রাজ্যগুলির মতো এই অঞ্চলও সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে।