কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিতে, অর্থাৎ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে সম্প্রতি এই লোকোমোটিভকে চালানো হয়েছে কোটা ডিভিশনের রভিতা রোড এবং লাবান সেকশনের মধ্যে। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে তৈরি হওয়া এই ইঞ্জিনটি ২৪টি কোচকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম। এবং সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের গতি কোনও অবস্থাতেই ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের কম হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘এই ইঞ্জিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম। কিন্তু একে বেঁধে রাখা হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতেই। এই গতিও রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দী এক্সপ্রেসের বর্তমান গতির তুলনায় ঘণ্টায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেশি।’
সরকারি সূত্রের খবর, ছ’মাস সময়সীমায় নতুন এই লোকোমোটিভ তৈরি করেছে বাংলার সিএলডব্লু। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছোটার ক্ষমতা সম্পন্ন লোকোমোটিভ তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি তৈরি করে গাজিয়াবাদ শেডে তুলে দেয় সিএলডব্লু। তারপর থেকে দফায় দফায় এর ট্রায়াল রান দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ট্রায়াল রানটি হয় গতকাল, সোমবার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছোটানো হয় একে। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে। তবে একে কি শুধুই দেশের প্রিমিয়াম ট্রেন চালানোর কাজে লাগানো হবে? নাকি অন্যান্য দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করতেও একে ব্যবহার করা হবে? এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এইসব প্রিমিয়াম ট্রেনের সঙ্গে জুড়তে চলেছে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভের তৈরি করা এই ইঞ্জিন। এক্ষেত্রে আপাতত কোন কোন রুটকে ভাবা হচ্ছে? তা নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলমন্ত্রক। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরিকাঠামো বাড়িয়ে নিউ দিল্লি-হাওড়া রুটে আরও বেশি গতিতে ট্রেন চালানো হবে। একইসঙ্গে নিউ দিল্লি-মুম্বই রুটেও একইভাবে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি। ফলে মনে করা হচ্ছে, নতুন ইঞ্জিনের চলাচলের জন্য উল্লিখিত দুটো রুটকে বেছে নেওয়া হতে পারে।