পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং দিল্লির সামাজিক সুরক্ষামন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতান। মন্দিরের জমি ওই সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন রাজেন্দ্র। অপরদিকে, এই ইস্যুকে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। রবিদাস সম্প্রদায়ের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান সুনীল জাখর। পাশাপাশি, মন্দির ভাঙার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তথা হোঁশিয়ারপুরের সাংসদ সোম প্রকাশ। শিরোমণি আকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল ওই মন্দির তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জানান, সুযোগ পেলে দল ওই মন্দির তৈরি করার সমস্ত খরচ বহন করবে।
অন্যদিকে,উদ্ভূত অচলাবস্থা কাটাতে এবং দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমিত করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রও। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান, সরকার সমাধানসূত্র বের করতে বন্ধপরিকর। সেই সঙ্গে মন্দিরের জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে। এই নিয়ে তিনি দিল্লির লেফট্যানেন্ট গর্ভনর অনিল বাইজলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদিও, নেতা-মন্ত্রীদের আশ্বাসের পরও আন্দোলন থেকে পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারী সংগঠন।
প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লির তুঘলকাবাদের জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত গুরু রামদাস মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো শনিবার সকালে মন্দিরটি ভেঙে দেয় দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ)। এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেই ঢাল করেছে ডিডিএ। সোমবার এই সংস্থার কর্তারা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে।