কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সিপিএম সূত্রের খবর, সংসদে দলগতভাবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সরাসরি বিরোধিতায় কংগ্রেস, বাম এবং ডিএমকে শিবির সক্রিয়তা দেখিয়েছে। তবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বামেরাই। তৃণমূল সহ অন্যান্য বিজেপি-বিরোধী দলগুলি সরাসরি ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার মূল বিষয়টির বিরোধিতা করেনি। যেভাবে কেন্দ্র তা করেছে, তার পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। কাশ্মীর নিয়ে দেশের সংখ্যালঘু জনতার কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যাবে— আড়ালে এই অ্যাজেন্ডাকে সামনে রেখে সিপিএম অবশ্য এ নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। যদিও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ সিপিএমের এই অবস্থানকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হচ্ছে না। এক জাতি, এক প্রাণ, একতার স্লোগান সমর্থনকারী সাধারণ মানুষের এই অংশ মার্কসবাদীদের এহেন অবস্থানকে জাতীয়তাবিরোধী তকমা দিতেও পিছপা হচ্ছে না। এমনকী, দলকে পাকিস্তানের দালাল বলেও অভিহিত করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
তবে কেবল সাধারণ মানুষই নয়, দলের এই অবস্থান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এত বছর পর এই ধরনের একটি সাময়িক বিধি তুলে দিয়ে গোটা দেশে এক নিয়ম বলবৎ করার ক্ষেত্রে কেন আপত্তি থাকতে পারে, সেব্যাপারে তারা প্রশ্ন করছে। এই বিষয়টি নজরে আসার পরই আলিমুদ্দিন নড়েচড়ে বসেছে। কাশ্মীরের মানুষের কেন এই বিশেষ মর্যাদা জরুরি, তা নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের বোঝাতে তারা মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর কর্মসূচির বন্দোবস্ত করেছে তড়িঘড়ি। কলকাতা দিয়েই শুরু হচ্ছে এই পর্ব। জেলা কমিটির তরফে অধীনস্থ সমস্ত ধরনের কমিটির সদস্যদের প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের ওই সভায় হাজির থাকার নিদান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা প্রশ্ন করতে চায় উত্তর তৈরি করার সুবিধার্থে তাদের তা আগাম জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে দলের ওয়েবসাইটে।