কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
কংগ্রেসের শীর্ষ পদে টালমাটাল দশার অবসান হয়েছে গতকাল। সারাদিন ম্যারাথন বৈঠকের পর রাতে ওয়ার্কিং কমিটির ঘোষণা সামনে আসে। অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকে। যা নিয়ে রবিবার কংগ্রেস শিবির থেকে উনিশ-বিশ প্রায় একই সুরে কথা বলা হয়েছে। মোদ্দা বক্তব্য, দলের এই দুর্দিনে দিশা দেখাবে সোনিয়ার অভিজ্ঞতা ও তাঁর পরীক্ষিত নেতৃত্ব। উল্টো দিকে বিজেপি শিবির থেকে উঠে আসছে ব্যঙ্গের ঢেউ। বিজেপির প্রবীণ নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের কটাক্ষ, ‘পরিবারতন্দ্রের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের মানুষ। লোকসভা ভোটের ফল থেকে তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা নিতে নারাজ কংগ্রেস। অবাক করার মতো বিষয় হল, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এখনও চাইছে দলকে নেতৃত্ব দিন রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী।’ মধ্যপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সহ সর্বত্রই পরিবারতন্ত্র ও জাতপাতের রাজনীতি পরিচালিত দলগুলির ভরাডুবি হয়েছে লোকসভা ভোটে। তোষণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। দলের অন্দর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে নেতা তুলে এনে নজির গড়েছে বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস একটি পরিবারের বাইরে বেরতেই পারছে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেতা বাছা উচিত কংগ্রেসের। তা না পারলে কংগ্রেসকে কেউই বাঁচাতে পারবে না।’
শিবরাজ যাই বলুন, ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তের পর সোনিয়া-স্তুতিতে লাগাম নেই কংগ্রেসের অন্দরে। সোনিয়াকে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। রবিবার এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ট্যুইট, ‘সোনিয়া গান্ধীকে ফের দলের রাশ হাতে নিতে দেখে খুশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই সঠিকতম সিদ্ধান্ত। তাঁর অভিজ্ঞতা ও বোঝাপড়া কংগ্রেসকে দিশা দেখাতে সাহায্য করবে। তাঁকে ও দলকে আমার শুভেচ্ছা।’ প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন অমরিন্দরের স্ত্রী তথা পাতিয়ালার সাংসদ প্রণীত কাউর। এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ট্যুইট, ‘ অসাধারণ খবর! সোনিয়া গান্ধী ফের কংগ্রেস সভানেত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। আপনার মূল্যবান অভিজ্ঞতা দল পরিচালনার কাজে আমাদের সাহয্য করবে।’ আরও এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দলকে দিশা দেখানোর উপযুক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সোনিয়া গান্ধীর। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর যোগ্য নেতৃত্বে শক্তিশালী হয়ে উঠবে কংগ্রেস। সোনিয়া-স্তুতির পাশাপাশি দলের অন্দর থেকেই সব স্তরের নেতৃত্বে পুনর্বিন্যাসের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। উঠছে পুনর্মূল্যায়নের দাবিও। কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা চাইছেন, হাল ধরার পর আগে দলকে ঢেলে সাজার কাজ করুন ম্যাডাম।