কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
তার আগে ২৪ আকবর রোড এআইসিসির অফিসের বাইরে ততক্ষণে শুরু হয় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ। দাবি, রাহুল গান্ধী না থাকতে চাইলে দায়িত্ব নিতে হবে প্রিয়াঙ্কাকে। বৈঠকে প্রস্তাব ওঠে মুকুল ওয়াসনিকের নাম। দলের শীর্ষ স্ট্র্যাটেজি মেকারদের তৈরি চিত্রনাট্য মোতাবেকই ওই নাম সামনে আনা হল। কিন্তু বেশিরভাগই সেই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত না হয়ে পাল্টা প্রস্তাব দিলেন। বলা হল, রাহুল গান্ধীই পুনবির্বেচনা করে দলের নেতৃত্ব দিন। নাহলে প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু রাহুলও জানিয়ে দেন, তিনি যে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার কোনও নড়চড় হবে না। হিমশিম অবস্থায় পড়ে শেষমেশ সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়েই গেলেন। সোনিয়া গান্ধী বললেন, আমি বা রাহুল উভয়ের কেউ এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকতে চাই না। সদস্যরা ঠিক করুক। প্রদেশ নেতৃত্ব, এআইসিসির অন্য পদাধিকারীর সঙ্গে আলোচনা করুক। সেই মতো পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে মত আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার কোনওটিতে নেতৃত্বে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা, জ্যোতিরাদিত্য, কোনওটিতে অম্বিকা সোনি, কোনওটিতে কে সি বেণুগোপাল, সুস্মিতা দেব, গৌরব গগৈ। বাংলার পক্ষ থেকে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা আবদুল মান্নান, রাজ্যসভার এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভানেত্রী দীপা দাশমুন্সি ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কে সি বেণুগোপাল, কুমারী সেলজাদের কমিটি কাছে জানিয়ে আসেন নিজেদের মতামত। আবদুল মান্নানের প্রস্তাব রাহুল গান্ধীই থাকুন। প্রদীপবাবুর প্রস্তাব, গান্ধী পরিবারের হাতেই নেতৃত্বের দায়িত্ব থাকা উচিত। তবে একান্ত পরিবারের বাইরের কেউ হলে তিনি যাতে কোনওভাবেই পৃথক পাওয়ার সেন্টার তৈরি না করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
দীপাদেবী রাহুল গান্ধীর এই সরে যাওয়ার বিষয়টিকে বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া বলেই সওয়াল করেন। তাঁর মতামত জানতে চাইলে এআইসিসিকে তিনি বলেন, আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী তো বনবাসে যাননি। তাহলে কেন তাঁর খড়ম রেখে ভরতকে বসাতে হবে? তাছাড়া রাহুল গান্ধী নির্বাচিত সভাপতি। কিন্তু তিনি যদি একান্তই থাকতে না চান, তাহলে তাঁকেই নতুন নাম ঠিক করতে হবে।