বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেই লক্ষ্যে চন্দ্রযান-২ ইতিমধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে। ইসরোর একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২’এর স্বাস্থ্য ঠিক রয়েছে। পাশাপাশি সেটির যাত্রাপথও সঠিক দিকেই এগচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, অভিযানের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার সময় আসেনি। তবে আগামী কয়েকদিনের যাত্রাপথেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য এখনই ইসরোর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে সময়ে সব তথ্য ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, ইসরোর বেঙ্গালুরুর কন্ট্রোল রুম থেকে চন্দ্রযান-২’র সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্ক চন্দ্রযান-২’এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিকভাবে রেখে চলেছে। ইসরোর আরেকটি সূত্র বলছে, আগামী আরও কয়েকদিন চন্দ্রযান-২ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে। তারপরে সেটি সঠিক সময়েই চাঁদের কক্ষপথের দিকে যাত্রা শুরু করবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করে এদিন জানিয়েছেন।
তবে ইসরোর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনও সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি। কারণ যত এই চন্দ্রযান-২ চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে, তত এর যাত্রাপথ কঠিন হবে। তাই সেই যাত্রাপথকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করাই চন্দ্রযান-২’এর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যেভাবে চন্দ্রযান-২ এগিয়ে চলেছে, তাতে সবকিছু ঠিক থাকবে। কিন্তু, চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার শেষ ১৫ মিনিট নিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরাও যথেষ্ট আশঙ্কিত। সোমবার চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের সময়েই সেই আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল, ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভানের গলাতেও। তিনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে যখন ল্যান্ডারটি ‘সফ্ট’ ল্যান্ডিং করবে, তার ঠিক আগের ১৫ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন সেই সময় চন্দ্রযান-২’কে হতে হবে। তাই আগামী ৪৮ দিনই ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে দিন-রাত অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।