পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে এবার আর শুধু জল খোঁজা নয়, চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকে জলের সরাসরি অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পেতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আর তাই চন্দ্রযানের অরবিটারে থাকা ইমেজিং আইআর স্পেকট্রোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে একবছর ধরে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের সন্ধান চালানো হবে। সেই সঙ্গে চাঁদের খনিজ ভাণ্ডারেরও সন্ধান চালাবে এই যন্ত্র। তবে জল খুঁজতে এবার আর একটা নয়, দু’টো যন্ত্রে ভরসা করছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের মাটির উপরে জলের অস্তিত্ব খোঁজার পাশাপাশি চাঁদের মাটির ঠিক নীচের তলার স্তরে জলের কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা খুঁজতে আরও একটি যন্ত্র রয়েছে চন্দ্রযান-২’তে। সেটি হল, ডুয়েল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার। এটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ঠিক নীচের স্তরে জল রয়েছে কি না, তা খুঁজবে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১’এ অরবিটার চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাতেই জলের অস্তিত্ব পেয়েছিল। তাই এবার সেখানে আরও অনুসন্ধান চালাতেই এই পদক্ষেপ। এছাড়াও এবারের চন্দ্রযানে আরও একটি বিশেষ যন্ত্র রয়েছে। সেটি হল, চন্দ্রকম্প মাপার যন্ত্র। এটি থাকছে, চন্দ্রযান -২’র বিক্রম নামক ল্যান্ডারটিতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি চাঁদের মাটিতে যেখানে নামবে তার আশপাশ এলাকায় চন্দ্রকম্প পরিমাপ করবে। উল্লেখ্য সম্প্রতি পৃথিবীর মতো চাঁদেও ভূমিকম্প হওয়ার কথা এক গবেষণায় জানান নাসার বিজ্ঞানীরা। তারপর ভারতও এবার সেই একই বিষয়ে গবেষণা করতে চলেছে। তাই আগামী দিনে এবিষয়ে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা। এছাড়াও চন্দ্রযানে চাঁদের বায়ুমণ্ডল সহ খনিজ, মাটি, তাপমাত্রা, মাটির উপাদান প্রভৃতি একাধিক বিষয়ে গবেষণা করার বিভিন্ন যন্ত্র থাকছে।