গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দেওয়া দু-দুটো চরমসীমা না মেনে আস্থাভোটের জন্য সোমবার বেছে নিয়েছিলেন স্পিকার কে রমেশ। সেইমতো এদিন একঘণ্টা দেরিতে হলেও আস্থাভোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে একাধিকবার আস্থাভোটের কথা স্মরণ করে দেন। তিনি বলেন, ‘সবাই আমাদের দেখছে। দয়া করে আমাকে বলি পাঁঠা করবে না। চলুন আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ করি।’ গত শুক্রবার রাজ্যপালের দু’টি ‘ডেডলাইন’ উপেক্ষা করার পর সোমবার আস্থাভোটের জন্য সরকারের থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলেন স্পিকার রমেশ কুমার। কিন্তু, নানা অছিলায় সময় কাটাতে থাকে শাসক শিবির। একসময় স্পিকার বলেই ফেলেন, ‘এটা বিধানসভা বা আমার কারোওই সম্মান বাড়াচ্ছে না। আমরা সরকারি কর্মী। জনগণ আমাদের দেখছেন। আলোচনার নামে এখন যদি আওয়াজ ওঠে আমরা সময় নষ্ট করছি, তাহলে আমার বা কারও পক্ষেই সেটা ভালো হবে না।’
তবে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে গিয়ে স্পিকার এদিন কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা সিদ্ধারামাইয়াকে বলেছেন, বিধায়কদের হুইপ জারি করার অধিকার পরিষদীর দলের হাতে রয়েছে। রমেশের কথায়, ‘হুইপ জারি করা আপনার অধিকার। বাকি বিধায়কদের উপর। কোনও অভিযোগ এলে আইন মেনে আমি ব্যবস্থা নেব।’
স্পিকার যখন একথা বলছেন, তখন আস্থাভোটের আগে ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের ব্যাপারে রমেশকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী কৃষ্ণা গৌড়া। তিনি বলেন, তা না হলে আস্থাভোটের পবিত্রতা বজায় থাকবে না। গৌড়ার কথায়, ‘আমরা বিরলতম পরিস্থিতিতে রয়েছি। অধ্যক্ষকে সবার প্রথমে পদত্যাগী বিধায়কদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’ পাশাপাশি, সারা দেশে বিজেপি কোনও বিরোধী দল রাখতে চাইছে না বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। দেশজুড়ে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে জানিয়ে গৌড়া বলেন, ‘গণতন্ত্রের রক্ত আপনাদের (বিজেপি) হাতে লেগে রয়েছে।’
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে কুমারস্বামীকে ইস্তফা দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছে বিজেপি। কর্ণাটক সঙ্কট নিয়ে ফেসবুকে ‘রাজ্যবাসী আপনাকে ক্ষমা করবে না’ বলে হ্যাশট্যাগে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। সেখানে তারা কুমারস্বামীর উদ্দেশে লিখেছে, ‘সংবিধান এবং রাজ্যবাসীর প্রতি যদি আপনার এতটুকু আস্থা থাকে, তাহলে পদত্যাগ করে বাড়ি যান।’ অন্যদিকে, কর্ণাটকের দুই নির্দল বিধায়কের দায়ের করা মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁরা দ্রুত আস্থাভোট চেয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘অসম্ভব। আমরা এর আগে এমন কখনও করিনি। আগামীকাল বিষয়টি দেখতে পারি।’