পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই: ভারতকে বিশ্বের উদ্বাস্তু রাজধানী হতে দেওয়া যায় না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজটি তাই করতেই হবে। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই ভাষায় ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস প্রক্রিয়ার (এনআরসি) পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জুলাই। দফায় দফায় সময়সীমা পরিবর্তনের পর এরকমই স্থির হয়েছিল। সেই তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি এখনও ত্রুটিমুক্ত নয় জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আরও সময়সীমা বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সর্বোচ্চ আদালতকে বলেছেন, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা এখনই যাচ্ছে না। কারণ বহু বৈধ ভারতীয় নাগরিক তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছে। আর পক্ষান্তরে অনেক বেআইনি বাসিন্দা এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের চাপানউতোরের জন্যই আবার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। সেই কাজ শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে। তাই ত্রুটিহীন তালিকা প্রকাশের স্বার্থে আরও সময় দেওয়া হোক। আগেও এনআরসির তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী ৪০ লক্ষ মানুষকে বাইরে রাখা হয়েছে। বৈধ তালিকার বাইরের এই ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই রয়েছে। আজ লোকসভায় কংগ্রেসের এমপি শশী থারুর মানবাধিকার সংশোধনী বিল নিয়ে এক আলোচনায় বলেছেন, এনআরসি তালিকা এতটাই ত্রুটিপূর্ণ যে ৫৭ জন তালিকায় স্থান না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাচক্রে তাঁদের সিংহভাগই হিন্দু।
অসমের এনআরসি নিয়ে গোটা দেশেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ অসমের পর গোটা দেশেই এনআরসি চালু করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রতিটি ইঞ্চি থেকে বেআইনি বাসিন্দাদের খুঁজে বের করে তাড়ানো হবে। এনআরসি তালিকার বাইরে থাকা মানুষদের রাখা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। অসমের বেশ কিছু জেলে এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। আরও বেশ কিছু ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার পরিকল্পনাও মঞ্জুর হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বৈধ নাগরিকের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তারা ফরেন ট্রাইবুনাল অথরিটির কাছে নাম নথিভুক্ত করিয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারে। এই ট্রাইবুনালে আবেদন জমা করা ছাড়াও প্রায় ২৫ লক্ষ দরখাস্ত পৃথকভাবে জমা পড়েছে। একইভাবে ওই আবেদন পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছেও। আজ সুপ্রিম কোর্টে তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চূড়ান্ত তালিকা থেকে একদিকে যেমন প্রচুর অবৈধ নাগরিকের নাম ঢুকে পড়েছে তেমনই আবার বাদ চলে গিয়েছে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের নাম। সেই কারণেই সংশোধনী তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ জুলাই। অর্থাৎ সেদিনই জানা যাবে সময়সীমা বাড়বে কি না। অসমের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই দেশের অন্যত্র এনআরসি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।
অসমের এনআরসি নিয়ে গোটা দেশেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ অসমের পর গোটা দেশেই এনআরসি চালু করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রতিটি ইঞ্চি থেকে বেআইনি বাসিন্দাদের খুঁজে বের করে তাড়ানো হবে। এনআরসি তালিকার বাইরে থাকা মানুষদের রাখা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। অসমের বেশ কিছু জেলে এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। আরও বেশ কিছু ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার পরিকল্পনাও মঞ্জুর হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বৈধ নাগরিকের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তারা ফরেন ট্রাইবুনাল অথরিটির কাছে নাম নথিভুক্ত করিয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারে। এই ট্রাইবুনালে আবেদন জমা করা ছাড়াও প্রায় ২৫ লক্ষ দরখাস্ত পৃথকভাবে জমা পড়েছে। একইভাবে ওই আবেদন পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছেও। আজ সুপ্রিম কোর্টে তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চূড়ান্ত তালিকা থেকে একদিকে যেমন প্রচুর অবৈধ নাগরিকের নাম ঢুকে পড়েছে তেমনই আবার বাদ চলে গিয়েছে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের নাম। সেই কারণেই সংশোধনী তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ জুলাই। অর্থাৎ সেদিনই জানা যাবে সময়সীমা বাড়বে কি না। অসমের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই দেশের অন্যত্র এনআরসি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।
