বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে বিজেপি ভেঙে দেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে, তাতে ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট হচ্ছে। আজ সভার সব কাজ ফেলে এ বিষয়ে আলোচনার দাবি করে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা তার অনুমোদন দেননি। তাই বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এমপিরা। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির নির্দেশ মতো দলের এমপিরা স্পিকারের আসনের সামনে ওয়েলে নেমে আসেন। স্লোগান তোলেন বিচার চাই। গণতন্ত্র বাঁচাও।
তবে স্পিকার তা বেশিক্ষণ চলতে দেননি। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর এ বিষয়ে বলতে দেব বলে আশ্বাস দিতেই নিজের আসনে ফিরে যান কংগ্রেস এমপিরা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর্ণাটক ইস্যুতে বলার জন্য হল্লা শুরু করেন তাঁরা। কংগ্রেসের দলনেতা অধীরবাবু স্পিকার ওম বিড়লাকে বলেন, আপ কা বাত হাতি কে দাঁত বরাবর। আপনিই বলেছিলেন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হলেই বলতে দেবেন। তাহলে কথা রাখছেন না কেন? বলতে দিন। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন।
স্পিকারও ওম বিড়লাও জানিয়ে দেন, আগে সরকারি কার্যপ্রণালী শেষ হোক। তাছাড়া কোনও রাজ্যের বিধানসভায় কী হচ্ছে সেই বিষয় এখানে তোলা ঠিক নয়। তাও একটি গণতান্ত্রিক পদের (কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার) বিরুদ্ধে। তবে তাতেও থামেননি অধীররঞ্জন চৌধুরি। তবে তিনি কর্ণাটক বিধানসভা শব্দ দুটি উচ্চারণ করা মাত্রই মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার। কংগ্রেস এমপিরা সমস্বরে প্রতিবাদ করে ওয়াক আউট করে।
একইভাবে ‘দ্য রাইট টু ইনফরমেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৯’ পেশের সময়ই প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনারদের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর অথবা তাঁদের ৬৫ বছরে অবসরের যে নিয়ম রয়েছে, তার সংশোধন করে সরকার সিদ্ধান্ত করবে বলে আইনে সংশোধনী আনতেই বিল আনা হয়েছে। কিন্তু সময় মতো এমপিদের বিলের কপি না দিয়ে লোকসভার নিয়ম ভেঙে এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছে বলে সরব হন অধীরঞ্জন চৌধুরি। প্রতিবাদে সরব হয়ে তৃণমূলের সৌগত রায়ের মন্তব্য, এই বিল পাশ হলে তো সরকার যখন চাইবে যাঁকে চাইবে তাঁকে নিয়োগ করবে। কংগ্রেসের শশী থারুরের দাবি, এই সংশোধনের ফলে তথ্য জানার অধিকারই খর্ব হয়ে যাবে।
হায়দরাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়েসি সভার উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে সরাসরি সরকারের দিকে তুলে বলেন, এভাবে সরকার বিল আনতে পারে না। এতে সংসদকে অপমান করছে। এমপিদের অধিকারই খর্ব করছে। তাই বিলটি পেশ করারই প্রতিবাদ করে ভোটাভুটি চান ওয়েসি। যদিও ততক্ষণে এভাবে বিল পেশের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি, বিএসপি, ডিএমকে। তবে তারই মধ্যে ভোটাভুটি হয়। কাগজের ব্যালটে ভোট হয়। বিলটি পেশের পক্ষে ভোট পড়ে ২২৪। বিপক্ষে ৯।