বেঙ্গালুরু, ১৯ জুলাই (পিটিআই): চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর দুবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন কর্ণাটকের আইএমএ জুয়েলসের মালিক মহম্মদ মনসুর খান। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ফিরতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করল বেঙ্গালুরু পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এদিকে, ওই মামলায় মনসুরের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই মোতাবেক এদিন গ্রেপ্তারির পর তাঁকে জেরা শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। জেরা শেষে এই চিটফান্ড কর্তাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশ ছাড়ার সময় শিবাজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক আর রোশন বেগ তাঁর কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন মনসুর। অভিযোগ অস্বীকার করলেও দল থেকে সাসপেন্ড হন বেগ। তিনি এখন কর্ণাটকের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিট। এই মামলায় ইতিমধ্যেই আইএমএ জুয়েলসের ১২ জন ডিরেক্টর, বেঙ্গালুরু শহর জেলা ডেপুটি কমিশনার বিজয় শঙ্কর, সহকারী কমিশনার এল সি নাগরাজ, বেঙ্গালুরু উন্নয়ন পর্ষদের এক অফিসার, বৃহৎ বেঙ্গালুরু পুরসভার এক কাউন্সিলার সহ মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইএমএ জুয়েলসের ১৭ সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ। সিট জানিয়েছে, মূলত মুসলিমদেরই পাঁচটি সংস্থায় বিনিয়োগ করার আর্জি জানিয়েছিলেন মনসুর। যার দরুণ চার হাজার ৮৪ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা লগ্নিকারীদের ফিরিয়েও দেন। কিন্তু, মাসদেড়েক আগে আচমকা দুবাই পালিয়ে যান তিনি। তবে দেশে ফিরে লগ্নিকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মনসুর। সিট সূত্রে খবর, দুবাইতে লোক মারফৎ তাঁরা চিটফান্ড কর্তাকে দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ দেন। সেই মোতাবেক এদিন দুপুরের বিমানে নয়াদিল্লি ফেরামাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।