পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায় দিনের শুরুতেই। বিধানসভায় আস্থাপ্রস্তাব আনার পর মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, এটা শুধুমাত্র সরকারের অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়। গণতন্ত্রকে হত্যার লক্ষ্যে সরকারকে উৎখাত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা প্রকাশ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। তাই ভোটাভুটির আগে যাঁরা আস্থাপ্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে অংশ নিতে চান, তাঁদের প্রত্যেককে বলার সুযোগ দিতে হবে। ভোটাভুটিতে বিলম্বের কৌশলে জল ঢালতে শুরুতেই বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা বলেন, আস্থাভোট আজই শেষ করতে হবে। তাঁকে পাল্টা ঠেস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলনেতার বড্ড তাড়া রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
দিনের শুরুতে জোট সরকার কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছিল বিদ্রোহী শিবিরের বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডির ঘোষণায়। তিনি জানিয়ে দেন, সরকারের পক্ষেই থাকছেন। যদিও পরেই ধাক্কা আসে বিএসপি বিধায়কের দিক থেকে। জোট সরকারের প্রতি সমর্থন থাকা এই বিধায়ক এদিন বিধানসভায় অনুস্থিত থাকেন। বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর তরফে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ না আসায় অধিবেশন এড়িয়ে যান তিনি। এরই মধ্যে কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীমন্ত পাতিলের দেখা না মেলায় জোট শিবিরে উদ্বেগ আরও বাড়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুকে ব্যথা নিয়ে রেড্ডি মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনাচক্রে জোট শিবিরের বিদ্রোহী বিধায়করাও মুম্বইয়ের হোটেলেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার অভিযোগ করেন, তাঁদের এই বিধায়ককে অপহরণ করে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য বিধায়কদেরও অপহরণ করেই মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের পরিবারের তরফেও ফোন এসেছিল। স্পিকারের কাছে তাঁর অনুরোধ, এই বিধায়কদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। দলের সব বিধায়কের জন্য পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি হুইপ জারির ইস্যুতে কুশলী তাস খেলেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সিদ্ধারামাইয়া। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিদ্রোহী বিধায়কদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্য করা যাবে না। পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে তাঁর হুইপ জারির সাংবিধানিক অধিকার বাধা পাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে। ভোটাভুটির আগে এই বিষয়টির স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন। এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার আগে আস্থাভোট হলে তা অসাংবিধানিক হবে। এবিষয়ে স্পিকার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা সর্বোচ্চ। আবার পরিষদীয় নেতার কোনও অধিকারে তাঁর দিক থেকে কোনও বাধা আসবে না। এবিষয়ে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। সারাদিন দুই শিবিরের মধ্যে তীব্র বাগ্যুদ্ধ ও চাপানউতোর চলতে থাকে। ভোটাভুটিতে বিলম্ব ঠেকাতে বিকেলের পর রাজ্যপালের কাছে যান বিজেপি প্রতিনিধিরা। আস্থাভোট যাতে এদিনই সম্পন্ন করা হয়, রাজ্যপাল তা বিবেচনা করার বার্তা পাঠান স্পিকারের কাছে। স্পিকার তা বিধানসভায় পড়ে শোনান। প্রতিবাদে নামে কংগ্রেস। বিধানসভার কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের অভিযোগে। শোরগোলের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার ঘোষণা করেন, অধিবেশন আগামীকাল বেলা ১১টি পর্যন্ত স্থগিত করা হচ্ছে। আগামীকাল আস্থাপ্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক জারি থাকবে। পাশাপাশি রাজ্যপালের বার্তা নিয়ে স্পিকার আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন বলেও জানা যায়। এদিন আস্থাভোট হচ্ছে না বুঝতে পেরে প্রতিবাদে নামে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করেন, বিধানসভায় সারারাত ধর্না দেবেন বিজেপি বিধায়করা।