রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত মাসে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয় আহমেদ রাজা। তারপর থেকেই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাকে দেশে ফেরাতে তৎপর হয়ে ওঠে। ডি-কোম্পানির হাওলার এই মাথাকে ধরতে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল মুম্বই পুলিস। মুম্বই, থানের পাশাপাশি গুজরাতের সুরাতেও ডি-কোম্পানির ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল রাজার হাত ধরে। বড় ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে টাকা আদায়ের সঙ্গে মাদক সরবরাহ চলত নিখুঁতভাবে। ভারতে ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়েও কাজ চালায় ডি-কোম্পানি। ভারতের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে দাউদের সাহায্যে এদেশে নকল টাকা পাঠায় আইএসআই। জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতের সীমান্তের পাশাপাশি, নেপাল হয়েও নকল টাকা এদেশে ঢোকে। আর এই সব চলত আহমেদ রাজার পরিকল্পনায়। শাকিল ঘনিষ্ঠ আহমেদ রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের পর্দা ফাঁস করা সম্ভব হবে বলে মুম্বই পুলিসের ধারণা।
অন্যদিকে, দাউদ ইব্রাহিমের সবথেকে ঘনিষ্ঠ জাবির মোতিওয়ালার আমেরিকায় প্রত্যর্পণ রুখতে প্রাণপণে চেষ্টা শুরু করল পাকিস্তান। লন্ডনের আদালতে পাকিস্তানের কূটনীতিকের সমর্থিত ডি-কোম্পানির আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল মোতিওয়ালা অবসাদে ভুগছে। এই অবস্থায় আর্থিক তছরুপ, মাদক পাচার এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে মোতিওয়ালাকে আমেরিকা পাঠানো উচিত নয়। গত বছর আগস্ট মাসে জাবির মোতিওয়ালাকে লন্ডনে গ্রেপ্তার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পাকিস্তানের আশঙ্কা, একবার মোতিওয়ালা আমেরিকায় প্রত্যর্পণ হলে আইএসআইয়ের সঙ্গে দাউদের যোগসূত্র প্রকাশ্যে চলে আসবে। যদিও প্রকাশ্যে পাকিস্তানে দাউদের উপস্থিতি স্বীকার করে না ইসলামাবাদ। এর আগে, লন্ডনে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ডি-কোম্পানির আইনজীবীর হাত দিয়ে আদালতে চিঠি দিয়ে জানায়, মোতিওয়ালা পাকিস্তানের একজন সম্মানিত এবং পরিচিত ব্যবসায়ী। কিন্তু লন্ডনের আদালত এই তথ্যে কান দেয়নি। ভারতও মোতিওয়ালাকে জেরা করে দাউদ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চায়।