কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১৯৭০ সালের ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের সাঙ্গিলে জন্ম কুলভূষণের। বাবা সুধীর যাদব মুম্বইয়ের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনার। ২০০২ সালে সলমন খানের গাড়ির ধাক্কায় ফুটপাতবাসীদের মৃত্যুর মামলাটি দায়ের হওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট বান্দ্রা থানার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর কাকা সুভাষ যাদব। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মুম্বইয়ের পোয়াইতে থাকতেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য নৌবাহিনী থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন কুলভূষণ। বাহিনীতে সহকর্মীদের কাছেও তিনি তেমন পরিচিত ছিলেন না। তবে তিনি ‘র’-এ যোগ দিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার।
পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০০৩ সালের নভেম্বরে পুনে থেকে পাসপোর্ট হাতে পান তিনি। যার নম্বর ছিল ই৬৯৩৪৭৬৬। এই পাসপোর্টে তাঁর ছদ্মনাম ছিল হুসেন মুবারক প্যাটেল। এই পাসপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ১৯৮৭ সালে তিনি নৌবাহিনীতে যোগ দেন। পাসপোর্টে তাঁর ঠিকানাও অসম্পূর্ণ ছিল। এই পাসপোর্ট নিয়েই ইরানের চাবাহারে ঢুকেছিলেন তিনি।
এদিকে, ইরানে তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। চাবাহারের একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যে কুলভূষণ সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তবে তাঁর পরিবার বিষয়টি নিয়ে কিছু জানাতে চায়নি। সূত্রের খবর, ইরানের সারবাজ শহর থেকে জয়েশ উল-আদলের মোল্লা ওমর ইরানি কুলভূষণকে অপহরণ করে পাক সেনার হাতে তুলে দেয়। ভারতীয় আধিকারিকদের মতে, সম্ভবত তাঁকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। কারণ, তিনি আসল পাসপোর্ট সমেত পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েছেন।