রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সাধ্বী প্রজ্ঞা বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলের মতো নেতাদের এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি তা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের কীর্তিতে স্পষ্ট। আরএসএসের ওই কর্মকর্তার মতে, এই একটি ঘটনা আমাদের সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দলিতদের হিন্দু মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। ওই বিধায়কের উচিত এই বিয়ে মেনে নেওয়া এবং দলিতবিরোধী অবস্থান না দেখানো। যেখানে হাইকোর্ট এই বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে, সেখানে এখন উনি কী করবেন? তাই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে আরএসএস। ওই নেতা আরও জানান, ‘কেন্দ্রে এবং উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকারের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এবং তা থেকে কিছু সংখ্যা কমে গেলে কোনও সমস্যা হবে না।’ এরপরেই ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের ব্যবহার সঙ্ঘ পরিবারের সংস্কৃতি, ঐক্যের দর্শনের পরিপন্থী হয়ে উঠছে বলেই মনে করছে নাগপুর। সূত্রের খবর, শুধু সাম্প্রতিক ঘটনা নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের ‘পাকিস্তান’ মন্তব্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে করা ‘পাপ্পু কি পাপ্পি’, মানেকা গান্ধীর যে মুসলিমরা তাঁকে ভোট দেবেন, তাঁদের উন্নয়ন হবে- এই সব ঘটনায় আশাহত হয়েছেন সঙ্ঘ নেতারা।
শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংকে নিয়েও বিরক্ত আরএসএস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অশালীন নামে ডাকা, মুসলিমদের ৫০টা স্ত্রী, হাজারের বেশি সন্তান এবং সদ্য বিধায়কের মেয়ের বিয়ে নিয়ে তাঁর কুমন্তব্য সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের এবিষয়ে চুপ থাকাও ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না। সঙ্ঘ নেতার বক্তব্য, এই মুসলিমবিরোধী মন্তব্য আসলে মোদি সরকারের ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগানের উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করছে। বিজেপিতে মুসলিমদের নিয়ে আসার যে চেষ্টা প্রধানমন্ত্রী করছেন, তাকেও ধ্বংস করা হচ্ছে। আরএসএসের ধমকের পর নেতারা কতটা শুধরোবেন, সেটাই এখন দেখার।