বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলি থেকে উপকৃত হয়েছেন মোট ৪১ জন। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ১০ জুলাই পর্যন্ত সবথেকে বেশি ড্রাগ অ্যাডিক্টের সংখ্যা রয়েছে দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে। ৫৮৫ জন। এদিন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সারা দেশে মোট ৪৬১টি নেশামুক্তির কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১২টি। এবং সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ৬৮টি। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সুপারিশ মতো এইসব নেশামুক্তির কেন্দ্র বা ‘ইন্টিগ্রেটেড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার্স ফর অ্যাডিক্টস’ (আইআরসিএ)-এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং কাজকর্ম চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট এনজিও, পঞ্চায়েতিরাজ ইনস্টিটিউশন, স্থানীয় প্রশাসনকে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক। ‘সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম অব অ্যাসিস্ট্যান্স ফর প্রিভেনশন অব অ্যালকোহলিজম অ্যান্ড সাবস্টেন্স (ড্রাগস) অ্যাবিউজ’-এর আওতায় এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।
এদিন লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রতনলাল কাটারিয়া লিখিতভাবে বলেছেন, ‘অতিরিক্ত ড্রাগ নেওয়ার ফলে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সারা দেশে যথাক্রমে ৮৭৪ এবং ৭৫০ জন মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায় থাকা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো এমনই তথ্য দিয়েছে। নেশামুক্তির লক্ষ্যে ২০১৮-২০২৫ সালের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর ড্রাগ ডিমান্ড রিডাকশন তৈরি করা হয়েছে। যার আওতায় স্কুল-কলেজগুলিতে সচেতনতা শিবির, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা সভা, কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে উল্লিখিত স্কিমে মোট ১০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যানের সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ১৩৫ কোটি টাকা।