বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর হয়ে সওয়াল করার সময় আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান সুপ্রিম কোর্টে জানান, শীর্ষ আদালত একইসঙ্গে দু’টি অন্তর্বর্তী রায় দিয়েছে। একটি রায়ে বিধানসভার স্পিকারকে বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অপর অন্তর্বর্তী রায়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এদিন কুমারস্বামীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সওয়াল করার সময় তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্পিকারের পক্ষে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের ডিভিশন বেঞ্চে তিনি বলেন, ‘বিধায়করা যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তা যথাযথ নয়। সেক্ষেত্রে আদালত কখনই স্পিকারকে সন্ধ্যে ৬টার মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারে না।’ কুমারস্বামী আদালতে আরও জানান, বিদ্রোহী বিধায়করা একজোট হয়ে সরকারের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তাই আদালতের উচিত তাঁদের আবেদন গ্রহণ না করা।
স্পিকার কে আর রমেশ কুমারের পক্ষে সওয়াল করার সময় আইনজীবী এ এম সিংভি জানান, গত বছর যখন মধ্যরাতে আস্থা ভোট হয় বা রাজ্যপাল যখন বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান, সেই সময়েও আদালতের তরফে স্পিকারকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ বা তাঁদের বরখাস্ত করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি স্পিকার। এনিয়ে আদালতের তরফে স্পিকারকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জিও জানান রমেশ কুমার। আইনজীবী এ এম সিংভি জানান, বুধবারের মধ্যেই বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ এবং বরখাস্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। কিন্তু এর পাশাপাশি, আদালতের তরফে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার যে কথা বলা হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করুক আদালত।
এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহাতগি জানান, স্পিকার কখনই বিধায়কদের পদত্যাগের বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখতে পারেন না। স্পিকার রাজনৈতিক দলের কর্মীর মতো কাজ করছেন বলেও অভিযোগ জানান রোহাতগি। পাল্টা সিংভি জানান, আদালত কখনই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্পিকারকে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারে না। এক্ষেত্রে বিদ্রোহী বিধায়কদের উচিত ছিল স্পিকারের সামনে উপস্থিত হয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া। কিন্তু তার বদলে স্পিকারের অফিসে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পাঁচদিন পর ১১ জুলাই বিধায়করা স্পিকারের কাছে উপস্থিত হন। যদিও বিদ্রোহী বিধায়করা আদালতে জানিয়েছেন, বরখাস্ত করার জন্যই তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার। এরপরেই শীর্ষ আদালতের তরফে স্পিকারকে যে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান মুকুল রোহাতগি।