বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারত এবং পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বাণিজ্যিক উড়ান সংস্থাগুলি। বিশেষ করে এয়ার ইন্ডিয়া। গত সাড়ে চার মাসে এই সংস্থার ক্ষতি হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা। পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাসে একাধিক উড়ান বাতিল করতে হয়েছে। আর অন্যপথে ঘুরিয়ে বিমান চালাতে গিয়ে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হয়েছে। শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়। বেসরকারি সংস্থা ইন্ডিগো তাদের দিল্লি-ইস্তানবুল পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছিল। যে কয়েকটি হাতে গোনা বিমান ইস্তানবুল গিয়েছে, তাদের আরব সাগর ঘুরে যেতে হয়েছে। মাঝে জ্বালানির জন্য কাতারের দোহাতে অবতরণ করতে হয়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখ দেখেছে ইন্ডিগোর মতো সংস্থা। গত ৩ জুলাই রাজ্যসভায় অসামরিক পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী তথ্য দিয়ে জানান, পাকিস্তানের পথ বন্ধ থাকায় জুন মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসান হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা, বেসরকারি উড়ান সংস্থা স্পাইসজেট, ইন্ডিগো এবং গোএয়ারের ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ৩০ কোটি ৭৩ লক্ষ, ২৫ কোটি এবং ২ কোটি ১ লক্ষ। এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানের আকাশপথ খুলে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপগামী উড়ানের খরচ কমল যথাক্রমে ২০ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ টাকা।
১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার প্রতিঘাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জয়েশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি আকাশপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় পাক সরকার। যদিও পরে ১১টির মধ্যে মাত্র দু’টি রুট খোলা রাখা হয়।