পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির সর্বভারতীয় সংগঠন মন্ত্রীর মতো হট সিটের পরবর্তী দাবিদার কে? জবাবে সঙ্ঘের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, মূলত ক্ষেত্র প্রচারক থেকে এই সংগঠন মন্ত্রী চয়ন করা হয়। এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক সহকারী (সংগঠন) পদে চারজন নেতা রয়েছে। তাঁরা হলেন—ভি সতীশ, শিবপ্রকাশ, সৈদান সিং, বি এল সন্তোষ। এই চারজনের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের সংগঠন মন্ত্রী বিনায়ক রাও পরবর্তী সংগঠন মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ভি সতীশ কিংবা বিনায়ক রাওয়ের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। এদিকে, বিজয়ওয়াড়ায় এদিন শেষ হওয়া আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারক বৈঠকে রামলালকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সূত্রের দাবি, বর্তমানে রামলালের বয়স ৬৭ বছর। তিন বছরের মধ্যে নিয়ম মেনে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যেতে হবে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে চিঠি লিখে দলের সংগঠন মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন রামলাল। তাঁর বয়স এবং পরবর্তী নেতৃত্বকে তুলে আনার কথা মাথায় রেখে আরএসএস এই অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক দিলীপ ঘোষ বলেন, সভাপতি হিসেবে গত চার বছর রামলালজির সঙ্গে কাজ করেছি। সংগঠনে তাঁর বিপুল দক্ষতা ছিল। তবে আরএসএস এবং বিজেপি কখনই ব্যক্তি নির্ভর নয়। তাঁর মতো ব্যক্তি ওই পদ থেকে সরে গেলেও সংগঠনে তাঁর প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি রামলালজিকে তাঁর দক্ষতার প্রতি সম্মান দিয়ে সঙ্ঘ অখিল ভারতীয় সহ-সম্পর্ক প্রমুখ করায় যারপরনাই খুশি দিলীপবাবু। গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ স্থাপন করে আরএসএস-এর বিস্তারে কাজ করে এই শাখা। যার প্রধান হিসেবে রয়েছে প্রফেসর অনিরুদ্ধ দেশমুখ। সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল রামলালের। সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাজকর্ম, চলাফেরা সহ একাধিক বিষয়ে ধারাবাহিক নজরদারি চালাতেন রামলাল। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কাজকর্মও পর্যালোচনা করতেন তিনি। দিল্লির এক প্রভাবশালী নেতার দাবি, চলতি মন্ত্রিসভা গঠনে এবং পুরনো একাধিক মন্ত্রীর নাম বাদ পড়ার ক্ষেত্রেও আড়াল থেকে ঘুঁটি সাজিয়েছেন রামলাল। চমক হিসেবে বাংলা থেকে দেবশ্রী চৌধুরীকেও মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য করার পিছনে তাঁর প্রচ্ছন্ন অনুমোদন ছিল।