বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চিদম্বরমের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে গিয়ে কখনও কাগজ উঁচিয়ে কখনও ডেস্ক চাপড়ে নির্মলা বলেন, প্রতি পাঁচ সাত বছর অন্তরই যদি অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে স্বাধীনতার পর প্রথম ৬০ বছরে সেই প্রবণতা দেখা গেল না কেন? প্রসঙ্গত চিদম্বরম গতকাল ২০০৪ সাল থেকে লাগাতার উদাহরণ দেখিয়ে বলেছিলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই পাঁচ থেকে সাত বছর পরপর অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। সুতরাং এখন যেখানে অর্থনীতি ২.৭ লক্ষ কোটি ডলার, সেটি ১২ শতাংশ হারে নমিনাল জিডিপির বৃদ্ধিতে এমনিতেই পাঁচ সাত বছর পর ৫ লক্ষ কোটি ডলার হয়ে যাবে। এই নিয়মটি একজন মহাজনও জানে। কারণ হিসেবটি সহজ চক্রবৃদ্ধিহারের অঙ্ক। আজ নির্মলা চিদম্বরমের সমালোচনা করে বলেন, এত সহজ নয় ব্যাপারটা। অর্থনীতিকে দ্বিগুণ করতে হলে অনেক ফ্যাক্টর পূরণ করতে হয়। মুদ্রাস্ফীতি থেকে বাণিজ্য ঘাটতি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। পি চিদম্বরম গতকাল বলেছিলেন, সরকার একটিও স্ট্রাকচারাল রিফর্ম করেনি। অথচ সবথেকে বেশি দরকার ছিল ওই সাহসী সংস্কার। আজ নির্মলা উত্তর দিয়ে বলেন, আমাদের আর্থিক সংস্কারের সবথেকে বড় নমুনা হল জিএসটি চালু করা। এই কথায় কংগ্রেস ও বিরোধীপক্ষ পাল্টা উঠে দাঁড়িয়ে বলে আপনারাই তো ২০০৮ সাল থেকে ইউপিএ সরকারকে জিএসটি চালু করতে দেননি। লাগাতার বাধা দিয়েছেন সংসদে। এখন আবার সেই জিএসটিকেই নিজেদের সাফল্য বলছেন?
এই ইস্যুতে নির্মলা ও কংগ্রেসের আনন্দ শর্মার মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় রাজ্যসভায়। আনন্দ শর্মা বলেন, আমরা তো জিএসটিকে একবাক্যে সমর্থন করে এই সভাতেই পাশ করিয়েছিলাম, মনে নেই? নির্মলা বলেন, সরকার তো আমাদেরই ছিল! আপনারা সমর্থন করেছেন ভালো কথা। কিন্তু আমাদের আমলে হয়েছে। ‘ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপটসি’ আইন। স্টার্ট আপ ইণ্ডিয়া আর স্ট্যাণ্ড আপ ইণ্ডিয়া। এফডিআই। এগুলো স্ট্রাকচারাল রিফর্ম। রিক্যাপিটাইলেজশন অফ ব্যাঙ্ক।
কোনও সামাজিক প্রকল্পেই সরকার প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। আজ নির্মলা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, প্রতিটি প্রকল্পেই আমরা বরাদ্দ করেছি যথেষ্ট। মিড ডে মিল ১০ হাজার ৫০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। আইসিডিএস ২৩০৮৮ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে বরাদ্দ হয়েছে ২৭৫৮০ কোটি টাকা। স্কিল উন্নয়ন ৫০৭১ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৭২৬০ কোটি টাকা । ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পে ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছিল বিগত বছরের বরাদ্দ। এবার দেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তাঁর দাবি, আমরা আর্থিক ঘাটতি ৩.৩ শতাংশ করব। সামাজিক খাতে কোনও ছাঁটাই না করেই ওই লক্ষ্যমাত্র কর্জন করা সম্ভব।