কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নিঃশব্দে শত্রুপক্ষের আকাশসীমায় ঢুকে পড়াই শুধু নয়, নিজস্ব অ্যালগোরিদ্ম ব্যবহার করে নিজে থেকেই লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে পারবে এই ড্রোনগুলি। দলবদ্ধভাবে হামলায় পটু এই ড্রোনগুলি সবসময় ঝাঁক বেঁধে হামলা চালাবে। এক-একটি ঝাঁকে একডজনেরও বেশি ড্রোন থাকতে পারে। এর ফলে শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ে একটি-দু’টি ড্রোন ধ্বংস হয়ে গেলেও, বাকিরা কার্যসিদ্ধি করে আসতে পারবে। শুধু মাটিতে থাকা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুই নয়, মাটি থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে পারবে ড্রোনগুলি।
শুনতে কল্পবিজ্ঞানের গল্প মনে হলেও আগামী দু’বছরের মধ্যেই এই ড্রোনের ঝাঁক বিশ্বের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে হ্যাল। এই প্রকল্পে তাদের সহযোগিতা করছে নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিস। একেবারে আধুনিক প্রজন্মের এই ড্রোনগুলির নামকরণ করা হয়েছে এএলএফএ-এস বা এয়ার-লঞ্চড্ ফ্লেক্সিবল অ্যাসেট। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘আকাশ-যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এটাই হতে চলেছে। কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) জগতে লাগাতার উন্নত প্রযুক্তি আসতে থাকায় স্মার্ট ড্রোনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এতে বায়ুসেনাকে আর অপ্রত্যাশিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।’
এএলএফএ-এস ড্রোনগুলিতে ভাঁজ হয় এমন দেড় থেকে দু’মিটার দৈর্ঘ্যের দু’টি ডানা থাকবে। এই ড্রোনগুলিকে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের ডানার নীচে প্রকোষ্ঠের মধ্যে লাগানো হবে। তারপর লক্ষ্যবস্তুর থেকে নিরাপদ দূরত্বে এসে (যেখানে শত্রুপক্ষের বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে পারবে না) যুদ্ধবিমানের পাইলট ড্রোনগুলিকে সক্রিয় করে দেবেন। সক্রিয় হয়েই ড্রোনগুলি ডানা মেলে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ধেয়ে যাবে। ড্রোনগুলিকে প্রতিঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে শক্তিশালী ব্যাটারি। এমনভাবে ব্যাটারিগুলি তৈরি করা হবে, যাতে অভিযান সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত চার্জ থাকে।
ড্রোনগুলির প্রথম প্রোটোটাইপটিকে হ্যালেরই নির্মিত হক অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনার্স থেকে পরীক্ষা করা হবে। তবে, পরবর্তীতে এই ড্রোন ভারতীয় বায়ুসেনার যে কোনও যুদ্ধবিমান এবং সাধারণ বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এক আধিকারিক বলেন, ‘ড্রোনগুলি পরস্পরের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ডেটা লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। শরীরে লাগানো ইনফ্রারেড এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর দিয়ে তারা লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করবে।’ তবে, এই ড্রোনগুলি আত্মঘাতী হামলাই চালাবে। শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক নিয়ে নিখুঁত নিশানায় আছড়ে পড়ে লক্ষ্যবস্তুকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে ড্রোনগুলি।