কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্য প্রশাসনে স্বচ্ছ্বতা আনতে এবং বেআইনি নিয়োগে রাশ টানতেই অস্থায়ী কর্মী, ঠিকা কর্মী এবং দিনমজুরদের ঠিকুজি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে সরকার বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। মাস দু’য়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে অস্থায়ী কর্মী, ঠিকা কর্মী এবং দিনমজুরদের নিয়োগ ও কাজকর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এবার দপ্তরগুলির কাছ থেকে এই সমস্ত শ্রমিক এবং কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংগঠিত শ্রমিকদের তালিকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে কর্মীদের নাম ও অন্যান্য তথ্যগুলিও লিখে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীর নিয়োগের তারিখ, রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ হয়েছে কি না, বেতন কোন খাত থেকে দেওয়া হয়, এই সব তথ্যও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মে মাসের ওই নির্দেশিকায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একবার সেই তালিকা হাতে পেলেই তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। কোথায় কোথায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে চিহ্নিত করা হবে। তারপর সেই সমস্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে।
বেআইনি নিয়োগে যদি প্রশাসনের কোনও পদস্থ আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তবে সংশ্লিষ্ট কর্তার শাস্তির বিধানও নির্দেশিকায় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর মাধ্যমে বেআইনিভাবে নিযুক্ত কর্মীটি যত বেতন পেয়েছেন, সেই পরিমাণ টাকা ওই আধিকারিকের কাছ থেকেই বুঝে নেওয়া হবে। ২০১৬ সালে খাদি ও গ্রামশিল্প বোর্ডে (কেভিআইবি) ১০১টি পদ তৈরি করেছিল পিডিপি-বিজেপি সরকার। কিন্তু, বেআইনি নিয়োগের তদন্তে গঠিত কমিটি এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর গত সপ্তাহে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় প্রশাসন।