গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সেই মতো তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ পেয়েই বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাত থেকেই বিরোধী জোটের সমন্বয় তৈরিতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল। ঠিক হয়, প্রথমে সকালে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না, তারপর লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সোচ্চার হবেন তাঁরা। সেই মতো রাজ্যসভায় বাজেট বিতর্ক এবং লোকসভায় রেল বাজেটের উপর আলোচনা শুরুর আগে কর্ণাটক এবং তারই সঙ্গে নতুন করে গোয়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে তোপ দেগে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। প্রতিবাদে ‘ওয়াক আউট’ও করেন।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-তৃণমূল পরষ্পরের রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। তবুও লোকসভার মধ্যে এদিন বিজেপি বিরোধী ইস্যুতে দৃশ্যতই হাতে হাত ধরে ওয়াক আউট করতে দেখা গেল রাহুল গান্ধী এবং সৌগত রায়কে। কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক কে সুরেশ তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সভা ছাড়েন। যা নিয়ে অধীর চৌধুরীর মতো কট্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচকরা যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। কিন্তু পরিকল্পনা যেহেতু সোনিয়া গান্ধীর, তাই মানতেও হচ্ছে।
সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশ মতো কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সামনে কর্ণাটক এবং গোয়ার বিষয়টি তোলেন। কেন রোজ একই ইস্যু তুলে সংসদের কাজকর্মের ক্ষতি করার চেষ্টা হচ্ছে? পাল্টা সরব হন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত প্রতিদিন বিষয়টি তুলে বিজেপিকে লাগাতার গণতন্ত্র বিরোধীর তকমা লাগাতে হবে। তাই আজ নিয়ে পরপর চারদিন কর্ণাটক ইস্যু তোলেন অধীরবাবু। এবং ওয়াক আউটের ঘোষণা করতেই ইউপিএ’র এমপিরা লোকসভা ছাড়েন। উল্লেখ্য, ইউপিএ’র শরিক হিসেবে কর্ণাটকের ইস্যুতে ডিএমকে সভায় সঙ্গে থাকলেও সকালে ধর্নায় তাদের কোনও এমপিকে দেখা যায়নি। যদিও বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়। ধর্নার কোনও খবর তাঁরা পাননি বলেই জানান দলের এমপি তথা প্রয়াত ডিএমকে সুপ্রিমো করুণানিধির কন্যা কানিমোঝি।
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এদিন বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পোস্টার হাতে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করে বিরোধীরা। ‘সেভ ডেমোক্রেসি’, ‘বিজেপি কিলিং ডেমোক্রেসি’ স্লোগান লেখা পোস্টার হাতে গান্ধী মূর্তির সামনে গলা মেলান সোনিয়া, সুদীপ, রাহুল, অধীর, ডি রাজার মতো বিজেপি বিরোধী নেতারা। হাজির ছিলেন বিরোধী এসপি, আরজেডি, এনসিপির এমপিরাও। বিক্ষোভ আর স্লোগানে এদিন সকালে সংসদ চত্বর উত্তাল করে তোলেন তাঁরা। স্রেফ কর্ণাটকই নয়। নতুন করে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ গোয়াতেও। বিজেপির ইন্ধনেই কংগ্রেসের দশজন বিধায়ক দল ছেড়েছেন, অভিযোগে গণতন্ত্র বিপদের মুখে বলে সোচ্চার হয় বিরোধীরা।