বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শুধু লোকসভার এমপিদের জন্যই এই নির্দেশ নয়। রাজ্যসভার এমপিদের মোদি বলেছেন, যে রাজ্য থেকে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন সেইসব রাজ্যের গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে পদযাত্রায় অংশ নিন। মোদির এই গ্রামোন্নয়ন দর্শনকে সংসদীয়ভাবে যুক্ত করার প্রয়াস অভিনব কিছু নয়। কারণ প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালেও মোদি প্রত্যেক এমপিকে বলেছিলেন একটি করে গ্রামকে দত্তক নিতে। সেই গ্রাম যেন হয়ে ওঠে আদর্শ গ্রাম। সেই আহ্বান ছিল অবশ্য শুধুই নিজের দলের এমপিদের উদ্দেশ্যে নয়। প্রত্যেক দলকেই আবেদন করেছিলেন যাতে প্রতিটি দলের এমপিরাই একটি করে গ্রামকে দত্তক নিয়ে সেটিকে সর্বস্তরেই উন্নত গ্রামে পরিণত করেন। যদিও পাঁচ বছর পর দেখা গিয়েছে মোদির ওই আহ্বান কিংবা পরিকল্পনায় বিশেষ সাফল্য পাওয়া যায়নি। কতজন এমপি আদৌ গ্রাম দত্তক নিয়েছেন কিংবা সেইসব গ্রামের উন্নয়নের রূপরেখাই বা কী সেটা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট স্পষ্টীকরণ না থাকায় ওই প্রকল্পটি আর সেভাবেই আলোচিতই নয়। প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলের এমপিরাও আর দত্তক নেওয়া আদর্শ গ্রাম নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। এবারও ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার এসেই মোদির পুনরায় গ্রামস্বরাজের আহ্বানে সেই প্রকল্পকেই মনে করিয়েছে। আজ সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকের পর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রাজ্যসভার এমপিদের জন্য গ্রাম বাছাই করে দেওয়া হবে। আর প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ২০ থেকে ৩০ জনের একটি করে টিম তৈরি করা হবে। তারাই আয়োজন করবে পদযাত্রা। প্রতিদিন ১৫ কিলোমিটার করে পদযাত্রা করতে হবে। সেইমতোই প্ল্যান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের কারণ কী? বিজেপি সূত্রের খবর বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা যাতে প্রতিনিয়ত জনসংযোগের সঙ্গে যুক্ত থাকেন সেই প্রবণতা বজায় রাখতেই এই প্ল্যান। দলের সক্রিয়তা ও উপস্থিতি সর্বদাই দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে অনুভব করা যায় সেটাই প্রধান কৌশল প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহের।