বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ২৫ বছরের দলিত সম্প্রদায়ের যুবক হর্ষ সোলাঙ্কি কয়েক মাস আগে বিয়ে করেন দারবার গোষ্ঠীর মেয়ে ঊর্মিলাবেনকে। দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দলিত ছেলেকে বিয়ে করার প্রবল বিরোধী ছিল ঊর্মিলার পরিবার। বিয়ের পর তাঁরা কচ্ছ জেলার গান্ধীধামে এসে বসবাস শুরু করেন। দু’মাস আগে ঊর্মিলাকে সেখান থেকে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। দু’সপ্তাহের মধ্যে ফের শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ঊর্মিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। কিন্তু দু’মাস কেটে গেলেও গর্ভবতী স্ত্রীকে ফেরত না পাঠানোয় মহিলাদের হেল্পলাইন পরিষেবা ‘অভয়ম ১৮১’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সোলাঙ্কি। সোমবার সন্ধ্যায় অভয়ম-এর আধিকারিকদের সঙ্গে ভারমোর গ্রামে এসে পৌঁছন। তিনি গাড়িতে বসে থাকলেও অভয়ম আধিকারিকরা ঊর্মিলার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেন। অবশ্য কিছু কাজ হয়নি। হর্ষ সোলাঙ্কি বাইরে বসে আছেন জানতে পেরে তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ঊর্মিলার দাদা-ভাইরা। হামলা হয় অভয়ম-এর কর্মীদের উপরও। তাঁরা কোনওরকমে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন। ওই সংস্থার গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, মাথা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে গভীর ক্ষত অবস্থায় হর্ষকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হর্ষ সোলাঙ্কির শ্বশুরবাড়ির আটজন ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০২ (হত্যা), ৩৪১ (বেআইনিভাবে বাধা দেওয়া), ৩৫৩ (হেনস্তা বা সরকারি আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গা) এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর হামলা প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে, অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি পুলিস। তারা পলাতক।