বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
একদিকে অমিত শাহ-রাজনাথ সিং। অন্যদিকে, সোনিয়া-রাহুল। এমনই পরিবেশে কর্ণাটকে নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে আজ লোকসভায় সরব হল কংগ্রেস। ‘৩০৩ পেয়েও পেট ভরেনি? নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন?’ তীব্র আক্রমণ করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ পোস্টার হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল কংগ্রেস।
যদিও অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে কংগ্রেসকে চুপ করিয়ে দেওয়াই নয়, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলে খোঁচাও দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যা নিয়ে লোকসভার মধ্যে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে বেঁধে গেল বিতর্ক। শুরু হয়ে গেল হইচই। রাজনাথের মন্তব্যের প্রতিবাদে কংগ্রেস ‘ওয়াক আউট’ করবে বলে তোড়জোড় করার মুহূর্তেই ঘণ্টা খানেকের জন্য সভা মুলতুবি করে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা।
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের অবস্থা টলমল। গত কয়েকদিন ধরেই বেঙ্গালুরুতে ঘটছে নাটকীয় টানাপোড়েন। জোটের একদল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। আর তাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে আজ লোকসভায় খড়্গহস্ত হল কংগ্রেস। বিরোধী আসনের প্রথম সারিতে তখন পাশাপাশি বসে সোনিয়া-রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে, ট্রেজারি বেঞ্চে নিজের আসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্ণাটকের বিষয়টি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে তা গ্রাহ্য হয়নি। যদিও স্পিকার জিরো আওয়ারের গোড়াতেই তা বলার সুযোগ দেন।
আর সেই সুযোগ পেয়েই অধীররঞ্জন চৌধুরি বিজেপিকে সরকার ভাঙার খেলার অভিযোগ তুলে বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বিজেপি। ভারতে বিরোধী দলের সরকার বলে তবে কি কিছুই রাখতে চায় না বিজেপি? তাই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার ভাঙার চেষ্টা করেছে। এখন কর্ণাটকে করছে। এটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। অধীরবাবু বলেন, রাজ্যপালের কাছে কয়েকজন বিধায়ক ইস্তফা দিতেই তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি রেডি। ব্যবস্থা বিমানের। এভাবে গণতন্ত্রকে নষ্ট করবেন না। লোকসভা ভোটে ৩০৩ টি আসন পেয়েও পেট ভরেনি?
জবাব দিতে ওঠেন রাজনাথ সিং। অধীরবাবুর অভিযোগ খণ্ডন করেন। বলেন, ‘আমরা কোথাও সরকার ভাঙার পিছনে নেই। কাউকে আমরা ইস্তফা দেওয়ানোর কোনও কৌশলও করছি না।’ সুযোগ বুঝে সামনে বসা রাহুল গান্ধীকে খোঁচা দেন রাজনাথ সিং। বলেন, ‘ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি তো শুরু করেছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারপর থেকেই সবাই লাইন দিয়ে ইস্তফা দিচ্ছেন। এতে আমাদের কী করার আছে?’ প্রসঙ্গ কর্ণাটক হলেও তারই মধ্যে তাঁর ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেওয়ায় হকচকিয়ে যান রাহুল। পাশে বসা মা সোনিয়া এবং দলের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরিকে বলেন, এটা কী হচ্ছে! আর রাহুল এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করতেই সদলবলে সংসদে পোস্টার হাতে হইচই জুড়ে দেয় কংগ্রেস। সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।