বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ভারতকে ক্রমেই একটি স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক এবং নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত করছে মোদি সরকার, এই অভিযোগ তুলে আজ .লোকসভায় পেশ হওয়া বিলগুলির বিরোধিতা করা হয়েছে। যে বিলগুলি নিয়ে আপত্তি, তার মধ্যে অগ্রগণ্য হল সন্ত্রাস প্রতিরোধে ইউএপিএ সংশোধনী বিল, ডিএনএ টেকনোলজি রেগুলেশন বিল, প্রোটেকশন অফ হিউম্যান রাইটস সংশোধনী বিল, জালিনওয়ালাবাগ ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সংশোধনী বিল। আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) সংশোধনী বিলে একটি চার নং শিডিউল যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য হিসাবে জঙ্গি কার্যকলাপের চক্রান্ত কিংবা হামলার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অর্থাৎ সন্ত্রাসের তকমা দিয়ে যেমন মামলা রুজু করা যায়, তেমনই এই বিল পাশ হলে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না হলেও যদি কেউ এককভাবে জঙ্গি হামলা করে গ্রেপ্তার হয় কিংবা এককভাবে সন্ত্রাসের চক্রান্ত করে, তাহলেও তার বিরুদ্ধে এই ইউএপিএ অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদের মামলা রুজু করা যাবে। সংশোধনী নিয়ে আজ তুমুল হইচই করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী, শশী থারুরদের অভিযোগ এভাবে কার্যত রাষ্ট্রকে একটি পুলিশ স্টেটে পরিণত করা হচ্ছে। কারণ এই সংশোধনী পাশ হলে যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধেই যখন তখন যে কোনও সরকার সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে পারবে। পুলিশকে প্রমাণ করতে হবে না যে ওই ব্যক্তি আদৌ কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিনা। সুতরাং এই আইন প্রবলভাবে অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকছে। সরকারের বিরোধিতা করা হলে কিংবা শাসক দলের সমালোচনা করা হলেও আগামীদিনে গ্রেপ্তার করে যে কোনও একক ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে সেইমতো মামলা রুজু করা হবে।
বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি বলেছেন, এই আশঙ্কা অমূলক। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ হাফিজ সঈদ থেকে মাসুদ আজহারকে যদি গ্লোবাল টেররিস্ট হিসাবে এককভাবে ঘোষণা করতে পারে তাহলে আমাদের সেই আইন থাকতে পারবে না কেন? আর এই বিলগুলি এই প্রথম পেশ হল এমন নয়। আগেও হয়েছে। লোকসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যসভায় পাশ হয়নি, তাই সেগুলি খারিজ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় পেশ করা হয়েছে। একইভাবে ডিএনএ রেগুলেশন বিল নিয়েও হইচই হয়েছে লোকসভায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই বিলে বলা হয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া কারাবন্দী অপরাধীদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে একটি ডিএনএ ডেটা ব্যাঙ্কে রাখা হবে। অপরাধী কিংবা নিখোঁজ ব্যক্তির চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে এটা প্রয়োজনীয়। বিরোধীরা এই বিলেরও তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন এটা মৌলিক অধিকারেই হস্তক্ষেপ। সেটি হল প্রাইভেসি। জালিয়ানওয়ালাবাগ মেমোরিয়াল সংশোধনী বিলে ওই স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণের ট্রাস্টিতে এতবছর ধরে কংগ্রেস সভাপতির নাম রাখা হত স্বাভাবিক নিয়মেই। এই বিলে নতুন সংশোধনী এনে কংগ্রেস সভাপতির স্থানে লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা করা হয়েছে। আর এই পরিবর্তন প্রয়াসেই ক্ষুব্ধ হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা শশী থারুর বলেছেন এই সরকার ইতিহাসকেই বদলে দিতে চাইছে। জালিনওয়ালাবাগ নিয়েও রাজনীতি কেন করা হচ্ছে?