বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আজ লোকসভায় বিহারের ওই বিজেপি এমপি বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে গত তিন বছর ধরে আমি ঘুরে বেরাচ্ছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কোন দপ্তরে গিয়ে এইসব প্রস্তাব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। ২০১৮ সালের ৯ মার্চ এই প্রস্তাবই আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছিলাম। যখনই আমি প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রীর কোনও আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করি, আমাকে নতুন নতুন নিয়মের কথা বলা হয়। শুনতে পাই সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব নাকি কেন্দ্রের বিবেচনাধীন। একে সরকার যে নাম দিতে চায় দিয়ে দিক। ইকো ট্যুরিজম করতে পারে, রিলিজিয়াস ট্যুরিজম করতে পারে, অথবা অন্য কিছুও করা যেতে পারে। কিন্তু পর্যটনের খাতে বিহারের যা পাওনা হয়, তার পুরোটাই বিহারের মানুষের পাওয়া উচিত।’ এরপরেই বিজেপি সংসদ সদস্য রাজীবপ্রতাপ রুডিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল বলেন, ‘বিজেপি এমপি আমাকে যতগুলি চিঠি লিখেছেন, তার সবই আমার কাছে রয়েছে। চাইলে আমি সেগুলি দেখিয়েও দিতে পারি। কিন্তু কোনও চিঠিই আমার মন্ত্রকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং সেইসব চিঠি আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বিজেপি এমপির প্রস্তাবের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বিহারের ইকো ট্যুরিজম নিয়ে একটি সাধারণ চিঠি এসেছিল। না এসেছে কোনও ডিপিআর, না কোনও প্রস্তাব। যদি বিহার সরকার কোনও ডিপিআর না পাঠায়, তাহলে এই ইস্যুতে আগামীদিনে কোনও কাজ করা সম্ভব নয়।’ রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, ‘যদি মন্ত্রকের আধিকারিকেরা ডিপিআর জমা না দেয়, তাহলে তা প্রিভিলেজের শামিল।’ যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি এমপির মধ্যে এই তর্ক আর বাড়তে দিতে চাননি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কেন্দ্রের শাসক দলের একজন এমপিরই এভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান লোকসভায় উপস্থিত বিজেপির সংসদ সদস্যরা। কেউ কেউ হাত নেড়ে রাজীবপ্রতাপ রুডিকে বসেও যেতে বলেন। রাজীবপ্রতাপ রুডির এহেন প্রশ্নকে বিরোধী বেঞ্চের একাংশ টেবিল চাপড়ে স্বাগত জানান।